গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহ বা তারও বেশি সময়ে বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণ ছাড়াই শিশুর জন্মকে স্টিলবার্থ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
এটি নিউইয়র্ক এবং জেনেভা থেকে বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও ইউএনএফপি’র প্রকাশিত স্টিলবার্থ বিষয়ক প্রথম কোনো প্রতিবেদন।
নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, স্টিলবার্থের ৮৪ শতাংশই নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে ঘটে।
২০১৯ সালে, সাব-সাহারান আফ্রিকা বা দক্ষিণ এশিয়ায় ৪টির মধ্যে ৩টি শিশুর স্টিলবার্থ হয়।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর বলেছেন, ‘জন্মের সময় বা গর্ভাবস্থায় একটি শিশুকে হারানো একটি পরিবারের জন্য এক
মারাত্মক ট্র্যাজেডি।’
তিনি বলেন, প্রতি ১৬ সেকেন্ডে কোনো মা কোথাও না কোথাও স্টিলবার্থের অবর্ণনীয় ট্র্যাজেডির শিকার হবেন।
‘প্রাণহানির বাইরেও নারী, পরিবার ও সমাজের জন্য মানসিক এবং আর্থিক ব্যয় মারাত্মক এবং দীর্ঘস্থায়ী। এই মায়েদের বেশিরভাগের জন্যই কেবল এইভাবে হওয়া উচিত ছিল না। দক্ষতার সাথে পর্যবেক্ষণ, সঠিক প্রসবকালীন যত্ন এবং দক্ষ জন্ম পরিচারকের মাধ্যমে বেশিরভাগ স্টিলবার্থ প্রতিরোধ করা যেত।’
প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে কোভিড -১৯ মহামারির কারণে স্টিলবার্থ বিশ্বব্যাপী আরও খারাপ হতে পারে। মহামারিজনিত কারণে স্বাস্থ্যসেবাগুলিতে ৫০ শতাংশ হ্রাস ১১৭টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে ১২ মাসের মধ্যে প্রায় ২ লাখ অতিরিক্ত স্টিলবার্থের কারণ হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে স্টিলবার্থ কেবল গরীব দেশের জন্যই চ্যালেঞ্জ নয়।
২০১৯ সালে ৩৯টি উচ্চ-আয়ের দেশে নবজাতকের মৃত্যুর চেয়ে স্টিলবার্থের সংখ্যা বেশি ছিল এবং ১৫টি দেশে শিশু মৃত্যুর চেয়ে বেশি ছিল স্টিলবার্থ।
উচ্চ-আয়ের দেশগুলোতে মায়ের শিক্ষার স্তরটি অসমতার অন্যতম সেরা চালক।
নিম্ন ও উচ্চ-আয়ের উভয় দেশের ক্ষেত্রেই স্টিলবার্থের হার শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি।
আর্থ-সামাজিক অবস্থাও এ বৃহত্তর ঘটনার সাথে যুক্ত।
উদাহরণস্বরূপ, নেপালে, সংখ্যালঘু বর্ণের মহিলাদের স্টিলবার্থের হার ছিল উচ্চ-শ্রেণির মহিলাদের তুলনায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি।
বিশেষত উচ্চ-আয়ের দেশগুলোতে জাতিগত সংখ্যালঘুদের পর্যাপ্ত মানের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ঘাটতি থাকতে পারে।