পম্পেও সেইসব দেশগুলোতে সফরে যাচ্ছেন, ইতোমধ্যে যেসব দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা জো বাইডেনকে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রথম দিনেই তুলে নেবেন বাইডেন
সাতটি দেশ সফরের লক্ষ্য হচ্ছে বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরা। বিশেষ করে চীন ও ইরান বিরোধী নীতিগুলো বর্ধিত করা এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি জনবসতিগুলো পরিদর্শন করা।
জো বাইডেন ক্ষমতায় আসায় বৈশ্বিক রাজনীতিতে আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ আমেরিকার নির্বাচনের ফলাফলকে মেনে নিয়েছে। যদিও দেশটির শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকের পাশাপাশি বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান পার্টির অনেকে এখনও তা মানেন নি।
পম্পেও এক সপ্তাহের দীর্ঘ সফরে ফ্রান্স, তুরস্ক, জর্জিয়া, ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং সৌদি আরবে যাবেন। ইতোমধ্যে এ সকল দেশের রাষ্ট্রপধানরা বাইডেনকে প্রকাশ্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ফ্রান্স, তুরস্ক, জর্জিয়া এবং কাতার-এই চারটি দেশের সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। পম্পেও এ সকল দেশের নেতাদের সাথে প্রকাশ্যে সাক্ষাৎ করবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পরও ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, প্রতিটি ‘বৈধ’ ভোট গণনার পর দ্বিতীয় দফায়ও ট্রাম্পই সরকার গঠন করবেন। যদিও এমন কথা বলার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
পরে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুর নরম করে পম্পেও বলেন, ‘আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে যিনিই আসেন না কেন, তিনি যেন বৈধ ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেন এবং আমেরিকানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন।’
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে পম্পেও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় ট্রানজিশন হবে মসৃণ। যদিও সমালোচনার মুখে পরে দৃশ্যত ওই বক্তব্য থেকে সরে আসেন তিনি।