জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭৪ জনে। এছাড়া কোভিড-১৯ এ মারা গেছেন ১১ লাখ ৮৮ হাজার ১৫১ জন।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। এখনও ব্যাপক হারে সেখানে করোনার বিস্তার হচ্ছে। দ্রুত আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও থেমে নেই।
শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৯০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লাখ থেকে ৯০ লাখে পৌঁছেছে মাত্র ১৪ দিনে। যা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণ।
এছাড়া দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৯৭১ জনসহ মোট মারা গেছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৭৬ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরে মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে ব্রাজিল ও ভারত। বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৮০ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৯০ জন। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৫৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৭ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৯০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৬০৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৬ হাজার ৩৬৪ জনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১.৩৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৪৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪২২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৭০৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৯.৪১ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।