প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৬ কোটি ২ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫১ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৭ জন।
জেএইচইউ এর পরিসংখ্যান বলছে - এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫২ ব্যক্তি।
গত বছর চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনা শনাক্তের পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যু।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৯ হাজার ৯১৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ৬২ হাজার ১৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব করোনা আক্রান্ত
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৯২ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৯ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬১ লাখ ১৮ হাজার ৭০৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ১১৫ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৮৭ জনে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কোভিড-১৯ টিকা আসলে কবে পেতে পারে?
এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৫৬ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৬ জনে পৌঁছেছে।
এদিকে মেক্সিকোতেও মৃত্যুর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। সেখানে মোট মারা গেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯৭ জন। ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত ২২ লাখ এবং রাশিয়ায় ২১ লাখ ছাড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৭ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭৭টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৬ হাজার ১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৫০টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
নতুন যে ৩৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৭ এবং নারী ১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৮২ জন বা ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৫০৫ জন বা ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩০২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমকি ২৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।