আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। ওই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। আইনটির বিরোধিতা করে প্রায় ৬০টি আবেদন জমা পড়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।
বুধবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ ওই আইনের প্রয়োগ স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারি এই আইনটি স্থগিত রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
গত ৪ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধন বিল অনুমোদন দেয় দেশটির মন্ত্রিসভা। এরপর তা সংসদের উভয়কক্ষে পাস হয়। পরে বিলটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। এই আইনের ফলে দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মের অবৈধ অভিবাসীরা নাগরিক হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। তবে মুসলিমরা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।