গবেষণার বরাতে সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মারাত্মকভাবে অসুস্থ কোভিড-১৯ রোগীদের ভেন্টিলেটরে নিম্নাভিমুখ অবস্থায় বা মুখ নিচের দিকে দিয়ে রাখা হয় এবং এর ফলে করোনা রোগীদের স্নায়ুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
গবেষকরা সাতটি পৃথক হাসপাতাল থেকে এমন ২০ রোগীকে শনাক্ত করেছেন যাদের ভেন্টিলেটরে থাকায় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
করোনায় আশা করা হয় যে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিরা কিছু সাধারণ শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে সেরে উঠবেন। তবে করোনা রোগীদের দুর্বলতার ধরনটি তাদের সুস্থ হয়ে ওঠার সময় গবেষকদের নজরে আসে, যেখানে তারা দেখতে পান যে প্রায়শই এসব রোগীদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্ট যেমন কব্জি, গোড়ালি বা কাঁধ শরীরের একদিকে অবশ হয়ে যায়। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে প্রায় চারটি আলাদা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মতো ঘটনাও রয়েছে।
গবেষকদের মতে, রক্ত প্রবাহ হ্রাস পাওয়া (জমাট রক্তের কারণে) এবং প্রদাহের ফলেই করোনা রোগীদের স্নায়ুর ক্ষতি হচ্ছে। তবে করোনা আক্রান্ত হননি, ভেন্টিলেটরে একই অবস্থানে থাকা এমন রোগীদের স্নায়ুর ক্ষতি হওয়ার তেমন নজির নেই।
শিরলে রায়ান অ্যাবিলিটিল্যাবের বিজ্ঞানী এবং এনইউ’র ফিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের নিউরোলজির সহকারী অধ্যাপক, গবেষণার প্রধান অনুসন্ধানকারী কলিন ফ্রাঞ্জ বলেন, ‘এটি উদ্বেগজনক এবং অনেক বড় একটি সমস্যা।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণত, খুব অসুস্থ লোকেরা সেই অবস্থানটি সহ্য করতে পারে যা তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে সহায়তা করে। কিন্তু কোভিড রোগীদের স্নায়ু অন্য সাধারণ মানুষের স্নায়ুর মতো চাপ নিতে পারে না।’
সমীক্ষায় বলা হয়, সবচেয়ে গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর মধ্যে ১২ থেকে ১৫ শতাংশের স্নায়ু স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গবেষণার এ ফলাফল প্রকাশের পর, নর্থওয়েস্টার্ন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের স্নায়ুর ক্ষতি রোধ করার জন্য ভেন্টিলেটরগুলোর নিম্নাভিমুখ অবস্থা বা পজিশন সংশোধন করছেন চিকিৎসকরা।