মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু ৫৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
এই নির্বাচন একটি ভার্চুয়াল গণভোটে পরিণত হয়েছে, কারণ এর ফলাফলের ওপর আঞ্চলিক শক্তি ভারত বা চীন ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে।
মিহারু নিউজ উল্লেখ করেছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং মুইজ্জু ১৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন। রবিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জয়ের পর এক বিবৃতিতে মুইজ্জু বলেন, ‘আজকের ফলাফলে আমরা দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। যা মালদ্বীপের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার শক্তি।’
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
মুইজ্জু সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে কারাগার থেকে গৃহবন্দী করার জন্য সলিহকে অনুরোধ করেন।
মুইজ্জু’র জন্য এটি এক বিস্ময়কর জয়। অর্থ পাচার ও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড ভোগ করায় সুপ্রিম কোর্ট ইয়ামিনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়ার পর মনোনয়নের সময়সীমার কাছাকাছি তাকে ‘ফলব্যাক’ প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। ইয়ামিনের সমর্থকরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান ডিএনসিসি’র
মুইজ্জু’র দলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘আজকের ফলাফল আমাদের জনগণের দেশপ্রেমের প্রতিফলন। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমাদের সকল প্রতিবেশি ও দ্বিপক্ষীয় অংশীদারদের প্রতি আহ্বান রইলো।’
তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা এবং ইয়ামিনের মুক্তি ছিল মুইজ্জু’র একটি ম্যান্ডেট।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রথম দফার ভোটে মুইজ্জু বা সলিহ কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া সলিহ মুইজ্জু’র অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। অভিযোগ করা হয়- তিনি দেশটিতে ভারতকে অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিলেন। মুইজ্জু’র দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে ব্যাপকভাবে চীনপন্থী হিসেবে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট