রাশিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা চায় ইরান যেন একটি 'স্বাভাবিক দেশের' মতো আচরণ করে। তবে আমেরিকা আক্রান্ত হলে সমুচিত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারিও করেছেন তিনি। খবর বিবিসি’র।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তোল্লাহ খোমেনির দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সাথে যে পরমাণু চুক্তিটি বাতিল করেছেন সেটির বদলে অন্য কোন চুক্তির বিষয়ে আমেরিকার সাথে ইরান কোনো আপোষ করবে না।
গত সোমবার ইরানের ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘ইরানকে ভয় দেখানোর সাধ্য কারো নেই। ’
তবে ইরান একটা সংকটময় পরিস্থিতিতে যাচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ইরান এ সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং মাথা উঁচু করে টিকে থাকবে।’
গত দু'দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায় - সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট চারটি জাহাজে রহস্যজনক 'অন্তর্ঘাত আক্রমণের' ঘটনা ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, মার্কিন তদন্তকারীরা ধারণা করছেন যে এর পেছনে রয়েছে ইরান বা ইরানের সমর্থিত কোনো গোষ্ঠী। অবশ্য এ ধারণার পক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয় নি।