তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর জাতিসংঘের প্রতিবেদন জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গুরুত্ব দেয়।
এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার জন্য কাজ করা তদন্তকারীরা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন সম্পন্ন করে জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, নির্যাতনের জন্য দায়ী দেশটির শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিৎ।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ মন্ত্রী জানান, ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন সেপ্টেম্বরে মানবাধিকার কাউন্সিলের কাছে তাদের চূড়ান্ত উপস্থাপনা করার পর আমরা অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিরাপত্তা পরিষদের সামনে প্রতিবেদনটি আনতে আলোচনা করব।’
তিনি আরো বলেন, তারা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনকে দক্ষতার সাথে তাদের কাজের জন্য প্রশংসা করেছেন এবং পুরো প্রতিবেদনটি দেখার অপেক্ষা করছেন।
মার্ক ফিল্ড বলেন, ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর বিশেষ করে রাখাইনে গত বছরের আগস্ট থেকে ভয়াবহ সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সিদ্ধান্ত কোনো আশ্চার্যজনক নয়।
তিনি বলেন, ‘আমার মতো যারাই এই ভয়াবহ রোহিঙ্গা সংকটের সাথে সরাসরি জড়িত হয়েছে বা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাথে কথা বলেছে, তারা জানে যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক গণহত্যা ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লংঘনের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীই প্রধানত দায়ী।’
মিয়ানমারকে অপরাধ স্বীকার করা ও জবাবদিহিতা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন বৃটিশ মন্ত্রী।
এদিকে, বুধবার সকালে কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করতে বাংলাদেশে এসেছে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী আলিস্টেইর বার্ট।
মঙ্গলবার এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, বৃটিশ মন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের নেতাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন।