লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৮১ জন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার লেবানন জুড়ে ইসরায়েল ১১৫টি হামলা চালিয়েছে।
সোমবার থেকে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বের এলাকাগুলোতে হামলা চালালেও ইসরায়েল এখন চতুর্থ দিনে মাউন্ট লেবানন গভর্নরেটের এলাকাগুলোতে হামলা চালানো শুরু করেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৪০ জনে। আহত হয়েছে ৫ হাজার ৪১০ জন।
বৃহস্পতিবার সকালে বৈরুতের দাহিয়েহ শহরের আল-কায়েম মসজিদের কাছে একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় কমপক্ষে দুই জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের টিভি চ্যানেল আল-জাদিদের ফুটেজে দেখা যায়, হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহতদের সরিয়ে নিতে উদ্ধারকারী দল ও অ্যাম্বুলেন্স ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছুটে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অব্যাহত হামলার বিষয়ে সতর্ক করে লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর বিমান ইউনিটের কমান্ডার মোহাম্মদ হুসেইন সারওয়ারের ওপর 'গোয়েন্দা নিয়ন্ত্রিত হামলায়' তারা তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সারওয়ার ইসরায়েলে একাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য দায়ী।
এ হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো মন্তব্য করেনি বা সারওয়ারের মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করেনি।
সোমবার থেকে ইসরায়েল লেবানন জুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ৬৫০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে এবং ২ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে তারা দুই হাজারেরও বেশি স্থানে হামলা চালিয়েছে।
বুধবার লেবাননের পরিবেশমন্ত্রী নাসের ইয়াসিন জানান, গত ৭২ ঘণ্টায় বোমা হামলায় দেড় লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে এই তীব্র উত্তেজনা যুদ্ধ সৃষ্টির দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে যা নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে। এ সংঘাতে অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিও জড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা অস্বীকার ইসরায়েলের