অস্কারজয়ী অভিনেত্রী সতর্ক করে বলেন, যে পর্যন্ত বিশ্ব ‘সহিংসতা ও দ্বন্দ্বের চক্রের মধ্যে আটকে থাকবে’ সে পর্যন্ত নারীর সমতা, অধিকার ও অংশগ্রহণসহ অন্যান্য বিষয়সমূহও নিশ্চিত করা যাবে না।
শুক্রবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বক্তব্যকালে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত জোলি আরও বলেন, ‘শান্তি আলোচনায় কোনো দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করা দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার পথ নয়।’
সারা বিশ্বজুড়ে সফল ও অনুপ্রেরণাদায়ক নারীদের অনেক উদাহরণ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখনও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশই নারী ও মেয়েশিশু। বিশ্বে শরণার্থীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি তারা। যাদের বেশিরভাগই ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার।’
এ সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্বে শান্তি আলোচনাকারী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতিকদের অধিকাংশই নারী হওয়া উচিত বলে মনে করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
তবে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বাস্তবতা সম্পর্কে জানি।’
জোলি আরও বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, লিঙ্গ বৈষম্য, সহিংসতা ও ন্যায়বিচারের অভাব’ বিশ্বের বহু নারীকে অধীনস্থ এবং দুর্বল অবস্থানে রেখে দিয়েছে।
পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বার্ষিক সভার ভাষণে অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী প্রধানত নারীদের অধিকার ও বিভিন্ন সমস্যার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক জোট এবং ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকটের বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কথা বলেন।