বৃহস্পতিবার রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে ভোটের আহ্বান জানানোর পর হাতাহাতি শুরু হয়। স্পিকারের দিকে দৌড়ে সংসদের মাঝখানে জড়ো হয়ে রাজাপক্ষের সমর্থকরা চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকে।
তিন ডজনের অধিক সাংসদ হাতাহাতি শুরু করলে কয়েকজন প্রতিপক্ষ লাথি মেরে তাদের মাটিতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে রাক্ষাপক্ষের সমর্থক কয়েকজন সাংসদ পানির বোতল, বই ছুড়ে মারেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ার পরদিনই সংসদে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
শ্রীলঙ্কার স্পিকার কারু জয়সুরিয়া বলেছেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদরা অনাস্থা জানানোর কারণে শ্রীলঙ্কায় এখন কোনো প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিপরিষদ নেই।’
এদিকে মাহিন্দা রাজাপক্ষ দাবি করেন, কণ্ঠভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে দেয়ার কোনো ক্ষমতা স্পিকারের নেই।
সংসদের অনাস্থা ভোটের প্রতি ভিন্নমত পোষণ করে রাজাপক্ষ বলেন, ‘ভোট গ্রহণ করা উচিৎ। তবে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কণ্ঠভোটের মাধ্যমে পাস করা উচিৎ নয়। ‘প্রধানমন্ত্রীর ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের অপসারণ বা নিয়োগের কোনো ক্ষমতা জয়সুরিয়ার নেই’, যোগ করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, স্পিকার পক্ষপাতিত্ব করেছেন কারণ তিনি বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন।
রাজাপক্ষ সংকট সমাধানের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানান।
গত ২৬ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তখন মাইথ্রিপালা সিরিসেনা তার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে অপসারণ করে মাহিন্দা রাজাপক্ষকে নতুন প্রধানমন্ত্রী করেন।