ক্ষমতাসীন জোটের আকস্মিক পতন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের দুদিন পর নীরবতা ভঙ্গ করে বুধবার মাহাথির বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সাবেক মালয় পার্টিকে হারানোর পর তাদের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করা সম্ভব নয় এবং তিনি ক্ষমতালোভী নন সেটি প্রদর্শনের জন্যই পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, দেশটির আইনপ্রণেতারা তাকে নির্বাচিত করলে দায়িত্ব নেবেন, তবে সেটি না হলে যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়া হবে তাকেই মেনে নেয়ার কথা জানান মাহাথির।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদে আইনপ্রণেতারা কাকে সমর্থন করবেন বা তারা নতুন নির্বাচন চান কিনা সে বিষয়ে দেশটির রাজার সাথে ২২২ জন সংসদ সদস্যের দুদিনের বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই মাহাথির বলেন, সুযোগ পেলে তিনি এমন একটি সরকার গঠন করবেন যেটি দল কেন্দ্রিক নয় বরং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে।
এর আগে গত সোমবার রাজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মাহাথির মোহাম্মদ এবং রাজনৈতিক উত্থান-পতনের কারণে নির্বাচনে জয়লাভের দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যেই ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ে তার দল।
বেশকিছু দিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে। মাহাথিরের রাজনৈতিক দল পাকাতান হারাপান নতুন একটি সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে বলেও খবর ছড়িয়েছে।
বিরোধী দল বারিসান ন্যাশনালকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জোটবদ্ধ হন মাহাথির ও আনোয়ার ইব্রাহিম। ওই নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী হন মাহাথির মোহাম্মদ।
প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির। এসময় তার সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন আনোয়ার। পরে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ১৯৯৮ সালে আনোয়ারকে বরখাস্ত করেন মাহাথির মোহাম্মদ।