মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান,শপিংমল ও জনপ্রিয় খাবার
শিল্প ও অবকাঠামোগত সৌন্দর্যের দিক থেকে এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হলো মালয়েশিয়া। দেশটির বিখ্যাত ল্যান্ডস্কেপগুলোর অধিকাংশই অবস্থান করছে রাজধানী কুয়ালালামপুরে। সীমান্তজুড়ে তিতিওয়াংসা পর্বতমালা এবং মালাক্কা প্রণালী দ্বারা পরিবেষ্টিত এই দেশের বৃহত্তম নগরীটি একটি বিশেষ স্থানের অধিকারী। এখানকার প্রতিটি স্থাপনায় আভিজাত্য ও সৃজনশীলতার এক মনোমুগ্ধকর মেলবন্ধন রয়েছে। দিনের আলো নিভে গেলেও শহরের জনাকীর্ণ রাস্তাগুলো আলোকসজ্জায় ভরিয়ে রাখে গোটা কুয়ালালামপুরকে। চলুন, এই কুয়ালালামপুর শহরের বিশ্বখ্যাত স্থাপনা, শপিং সেন্টার এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
.
পেট্রোনাস টাওয়ার্স
১ হাজার ৪৮৩ ফুট উচ্চতার ৮৮-তলা এই দালান জোড়ার আরেক নাম পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত দালান দুটি আলাদাভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপনার তালিকা থেকে অনেক আগেই নেমে গেছে। তবে দুটোকে একসঙ্গে বিবেচনা করা হলে এটি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে উচু টুইন টাওয়ার হিসেবে রয়ে গেছে।
এর ৪১ ও ৪২তম তলায় দুটি টাওয়ারকে যুক্ত করেছে একটি ডাবল ডেকার স্কাইব্রিজ যা বিশ্বের সর্বোচ্চ দোতলা সেতুর রেকর্ড ধারণ করে আছে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের কোহ সামুই দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৮৬তম তলায় রয়েছে অবজারভেশন ডেক যেখান থেকে শহরের প্যানোরামিক দৃশ্যে চোখে পড়ে আরও অনেক পর্যটন স্থান। এমনকি লিফ্ট করে উপরে ওঠা ও নামার সময়টা এক দারুণ রোমাঞ্চকর অনুভূতির সঞ্চার করে।
কেএলসিসি পার্ক
স্থাপনার নামসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কুয়ালালামপুরকে উপস্থাপনের নিমিত্তে সংক্ষেপে কেএল ব্যবহার করা হয়। সে অনুসারে কেএলসিসি বলতে বোঝানো হয় কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার।
টুইন টাওয়ারের ধাতব অবয়বে সবুজায়নের অলঙ্করণ দিতেই এর ঠিক নিচে রয়েছে কেএলসিসি পার্ক। এর প্রধান আকর্ষণ ১০ হাজার বর্গ মিটারের লেক সিম্ফনি যেখানে রয়েছে বেশ কিছু কৃত্রিম ফোরায়া। সবচেয়ে উচু ফোয়ারাটির উচ্চতা ২৮০ মিটার। লেকের বাইরে পার্কের স্থলভাগগুলোর বিভিন্ন অংশেও দেওয়া হয়েছে সঙ্গীতের তালে তালে ফোয়ারা-সজ্জা। জগিংয়ের জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের রাবারজাত উপাদানের তৈরি ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত। পার্কের পশ্চিম দিকে রয়েছে পাবলিক পুলসহ শিশুদের জন্য একটি খেলার মাঠ।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ার ল্যাংকাউই দ্বীপ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় এবং যাবতীয় খরচ
কুয়ালালামপুর টাওয়ার (কেএল টাওয়ার)
৩৬০ ডিগ্রি কোণ করে চারপাশের কুয়ালালামপুরকে দেখতে হলে আরহণ করতে হবে শহরের এই সর্বোচ্চ ভিউ পয়েন্টে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ টাওয়ারগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে থাকা এই দালানে লিফ্ট দিয়ে পর্যবেক্ষণ ডেক পর্যন্ত উঠতে ৫৪ সেকেন্ড সময় নেয়। আর নেমে আসতে সময় লাগে ৫২ সেকেন্ড। কেএল টাওয়ারের অন্যান্য আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘূর্ণায়মান রেস্তোরাঁ এবং কালচারাল ভিলেজ। আর স্কাই বক্সের গ্লাস কিউবের ভেতরে দাড়িয়ে নিচের শহর দেখার দৃশ্যটি রীতিমতো রোমহর্ষক।
কুয়ালালামপুর বার্ড পার্ক (কেএল বার্ড পার্ক)
২০ দশমিক ৯একর প্রশস্ত এই পাবলিক এভিয়ারিটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ড পার্কগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই পার্ক ভ্রমণে একসঙ্গে আরও তিনটি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা যায়।
সেগুলো হচ্ছে- পের্ডানা বোটানিক্যাল গার্ডেন, কেএল বাটারফ্লাই পার্ক এবং রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ মিউজিয়াম।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বাটাম দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বার্ড পার্ক ২০০ টিরও বেশি প্রজাতির ৩ হাজারেরও বেশি পাখির আশ্রয়স্থল। এগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই স্থানীয় পাখি। বাকি ১০ শতাংশ আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া,চীন,হল্যান্ড,ইন্দোনেশিয়া,নিউ গিনি, তানজানিয়া এবং থাইল্যান্ডের থেকে।
অ্যাকোরিয়া কেএলসিসি
শহরের প্রাণকেন্দ্রে কেএল কনভেনশন সেন্টারের ঠিক নীচেই অবস্থিত এই বিশাল অ্যাকোয়ারিয়ামটি। পানির নিচে ৩০০ ফুট গভীরতার টানেলসহ ৬০ হাজার বর্গফুট বিস্তৃত জায়গাটি রীতিমত বলা যায় সামুদ্রিক সাফারি পার্ক। দেশি-বিদেশি সব মিলিয়ে এখানে ২৫০টিরও বেশি প্রজাতির স্থল ও জলচর প্রাণী রয়েছে। যাদের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি। দর্শনার্থীদের অ্যাকোরিয়া যাত্রা শুরু হয় কুয়াশায় ঢাকা উচ্চ ভূমিতে। তারপর রেইনফরেস্ট এবং ম্যানগ্রোভ হয়ে ক্রমশ এগিয়ে চলে। অতঃপর নদীর মধ্য দিয়ে গিয়ে যাত্রা শেষ হয় প্রবাল প্রাচীরের গভীর নীল সমুদ্রে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের চিয়াং মাই ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৩ সপ্তাহ আগে
মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল কিনতে চায় সরকার
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মালয়েশিয়া থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে পাম অয়েল কিনতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দেশটিকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দীন। এ ব্যাপারে তাকে আশ্বাসও দিয়েছে মালয়েশিয়া।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন মালয়েশিয়ায় তার ২ দিনের সফরের দ্বিতীয় দিন মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন ও কমোডিটিস মন্ত্রী ওয়াইবি দাতুক সেরি জোহারি বিন আবদুল গনির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর চাহিদা, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ এবং মালয়েশিয়ার অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়াকে পাম অয়েলের দাম কমানোর আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাণিজ্য উপদেষ্টা ট্রেডিং টিসিবির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ১ কোটি পরিবারের মধ্যে ন্যায্য মূল্যে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যাদি সরবরাহে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রমজানকে সামনে রেখে মালয়েশিয়া থেকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় টিসিবির মাধ্যমে পরিশোধিত পাম অয়েল সরবরাহের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী তার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি হতে বাণিজ্যিক (বি টু জি) ভিত্তিতে বাংলাদেশে পরিশোধিত পাম অয়েল সরবরাহে বাণিজ্য উপদেষ্টার অনুরোধে সাড়া দিয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো আশ্বাস দেন।
এছাড়াও বৈঠকে রাবার খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা, সম্ভাব্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবিত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে আলোচনা করেন।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকায় মালয়েশিয়া হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভিন, মালয়েশিয়ার কৃষি ও পণ্যমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইউসরিনুদ্দিন বিন আবদ করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া বাংলাদেশে পাম অয়েলের মূল্য সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী
৩ সপ্তাহ আগে
মালয়েশিয়ার ল্যাংকাউই দ্বীপ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় এবং যাবতীয় খরচ
গন্তব্য যখন এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, তখন অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে পাওয়া যায় এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। স্বচ্ছ পানি, ঘন জঙ্গল, নিঃসীম শূন্যতার পর্বতচূড়া এ সবকিছু ছাপিয়ে উঠে উপকূলবর্তী সম্প্রদায়গুলোর প্রাণের স্পন্দন। পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা জনপদ থেকে শুরু করে কোলাহলপূর্ণ বাজার জুড়ে স্বতন্ত্র সংস্কৃতির অনুরণন। বিচ্ছিন্ন এই ভূ-খণ্ডগুলো পর্যটকদের সামনে উন্মুক্ত করে এক অফুরন্ত দিগন্ত, যেখানে মেলে নিরন্তর যান্ত্রিক জীবন থেকে পরম মুক্তি। ঠিক এমনি এক গন্তব্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার ল্যাংকাউই দ্বীপগুলো। ২০০৭ সালের ১ জুন অঞ্চলটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড জিওপার্কের মর্যাদা লাভ করে। চলুন, এই দ্বীপরাজ্যের ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ল্যাংকাউই দ্বীপের ভৌগলিক অবস্থান
উত্তর-পশ্চিম মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৯৯টি দ্বীপের একটি দ্বীপপুঞ্জ ল্যাংকাউই। মালাক্কা প্রণালী মালয়েশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এই দ্বীপগুলোকে। প্রশাসনিকভাবে এই অঞ্চলটি উত্তর মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের একটি জেলা হিসেবে রয়েছে। মালয়েশিয়ানদের কাছে এর আরও একটি নাম আছে,আর সেটি হচ্ছে—কেদাহের রত্ন।
সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে মোট আয়তন ৪৭ হাজার ৮৪৮ হেক্টর। মূল ল্যাংকাউই দ্বীপটি উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ২৫ কিলোমিটার, আর পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর কিছুটা বেশি।
আরো পড়ুন:ইন্দোনেশিয়ার বাটাম দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
পর্যটকদের জন্য ল্যাংকাউইয়ের প্রধান আকর্ষণগুলো
.
ল্যাংকাউই কেবল কার এবং স্কাই ব্রিজ
এশীয় দ্বীপটির যাবতীয় পর্যটন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে এই কেবল কার। এটি মূলত একটি গন্ডোলা লিফ্ট, যা ল্যাংকাউই স্কাইক্যাব নামেও পরিচিত। এটি শুরু হয়েছে তেলুক বুরাউ-এর ওরিয়েন্টাল গ্রামে, আর শেষ প্রান্ত দ্বীপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গুনুং মাচিঞ্চ্যাং-এর শিখর। এখানে আছে দ্বীপের আরও একটি ল্যান্ডস্কেপ—ল্যাংকাউই স্কাই ব্রিজ।
কেবল কারে মোট তিনটি স্টেশন: বেস, মিডেল এবং টপ। বেস-এর ওরিয়েন্টাল ভিলেজটি একটি থিম শপিং সেন্টার, যেখানে মালয়েশিয়ান এবং ওরিয়েন্টাল স্থাপত্যশৈলীর ৩০টি ভবন রয়েছে। রাইডের জন্য অপেক্ষমান দর্শনার্থীরা এখানকার স্কাইডোম দিয়ে আশেপাশের ৩৬০-ডিগ্রি প্যানোরামিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। মিডেল স্টেশন বা মাঝে রয়েছে একটি কৌণিক স্টেশন, যেখানে গন্ডোলা লিফ্ট শীর্ষ স্টেশনে পৌঁছানোর জন্য ৪৫-ডিগ্রি বাঁক নেয়। একদম শেষে বা টপ-এ স্কাইগ্লাইড নামে একটি বাঁকানো লিফ্ট দর্শনার্থীদের টপ স্টেশন থেকে স্কাই ব্রিজে নিয়ে যায়।
বেস থেকে শীর্ষে যেতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লাগে। মোট ক্যারিয়ার সংখ্যা ৩৫টি, যার প্রতিটি ৬ জন যাত্রী নিতে পারে। রাইড ফি ৫৫ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ টাকা (১ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত = ২৭ দশমিক ২৭ বাংলাদেশি টাকা)।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের চিয়াং মাই ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
কিলিম কার্স্ট জিওফরেস্ট পার্ক
এই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটি একদিকে দর্শনীয় স্থান, অপরদিকে মালয়েশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র। পার্কটি ঘুরে দেখার সর্বোত্তম উপায় হলো নৌকা ভ্রমণ। এ সময় খুব কাছ থেকে দেখা যাবে এর ম্যানগ্রোভ বন এবং চুনাপাথরের গুহাগুলো। কিলিম, কিসাপ, ও এয়ার হাঙ্গাত—এই তিন নদীর মোহনা এসে মিলেছে এই বন উদ্যানে। এই বিশাল জলাধারটি পার্শ্ববর্তী কিসাপ গ্রাম থেকে তানজুং রু পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত।
গুনুং রায়া
৮৮১ মিটার উঁচু এই পাহাড়টি ল্যাংকাউইয়ের সর্বোচ্চ চূড়া। পর্বতশৃঙ্গ থেকে গোটা দ্বীপকে এক নজরে দেখে নেওয়া যায়। দীঘল রেইনফরেস্টের মধ্য দিয়ে এই চূড়ায় ওঠার হাইকিং পথটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই পাহাড়ি বনে দেখা মিলবে পাতার বানর, উড়ন্ত শিয়াল, ম্যাকাক বানর, সাদা পেটের ঈগল, মাউন্টেন-হক ঈগল, এবং গ্রেট হর্নবিলের মতো বিচিত্র সব বন্যপ্রাণীর। সমগ্র প্রদেশের সব থেকে নজরকাড়া উপত্যকাগুলোর অবস্থান এই পাহাড়ে।
পান্তাই চেনাং
দ্বীপের সবচেয়ে ব্যস্ত এবং উন্নত এই সমুদ্র সৈকত ২ কিলোমিটার দীর্ঘ।
সৈকতের শ্বেত-শুভ্র বালি, নীল রঙের পানি এবং সবুজ খেজুর এখানকার পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। এখানে প্যারাসেইলিং, ব্যানানা বোট রাইডিং, স্নরকেলিং এবং জেট স্কিইং-এর মতো বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। এই জাঁকজমক সৈকতের সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয়টি হচ্ছে একদম হাঁটা দূরত্বে অনেকগুলো হোটেল ও রিসোর্টের অবস্থান। এমনকি বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০ মিনিট দূরত্বের এই সৈকত পরিবারের সঙ্গে বিনামূল্যে ঘুরে বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের ফুকেট ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ল্যাংকাউই দ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময়
নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ল্যাংকাউইয়ে রোদ এবং সামান্য বৃষ্টি মিলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ আবহাওয়া বজায় থাকে। দিনের বেলা তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৫ এবং রাতে ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। দমকা বাতাস না থাকায় সাগরও থাকে শান্ত। তাই এই সময়টি প্যারাসেইলিং, স্নরকেলিং, এবং স্কুবা ডাইভিং-এর মতো জলবিনোদনগুলোর জন্য উৎকৃষ্ট। তাই ল্যাংকাউইয়ে ভ্রমণের জন্য শীত ও বসন্তের মৌসুমটিই বেছে নেওয়া উচিত।
মালয়েশিয়ার পর্যটন ভিসা আবেদনের পদ্ধতি
ল্যাংকাউইতে ছুটি কাটানোর জন্য বাংলাদেশি পর্যটকদের মালয়েশিয়ার সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিজিট ভিসার আবেদন করতে হবে। মালয়েশিয়ায় পৌঁছানো পর দেওয়া হয় এই ভিজিট পাস, যার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ৩০ দিন।
এই ভিসার জন্য প্রার্থীকে http://malaysiavisa.imi.gov.my/ লিংকে যেয়ে অনলাই আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। এ সময় ভিসা ফিও অনলাইনে জমা করতে হবে, যার পরিমাণ ২০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা প্রায় ৬০০ টাকা (মালয়েশিয়ান দূতাবাস অনুসারে)।
আরো পড়ুন: হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অনুমোদিত ই-ভিসা এ-ফোর সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে পরবর্তী মালয়েশিয়ার প্রবেশ চেকপয়েন্টে প্রদর্শনের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
১ মাস আগে
যেতে না পারা প্রায় ১৮০০০ কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, টিকিট জটিলতায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার কর্মীকে সে দেশে পাঠানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, দেশটিতে বন্ধ শ্রমবাজার চালু ও বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সমান সুযোগ সৃষ্টি এবং কর্মীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ
প্রবাসীকল্যাণ ভবনের বিজয়-৭১ মিলনায়তনে শনিবার (৫ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সমঝোতা সইকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ সুনিশ্চিত করতে ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রবাসীরা বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রত্যেকেই বাংলাদেশের একেকটি পতাকা হয়ে কাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তাদের যথাযথ মূল্যায়ন, প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণমূলক সুরক্ষা নিশ্চিত করা আবশ্যক। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড এ কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের উপস্থিতিতে চুক্তিতে ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান এবং মালয়েশিয়ার পারকেসোরর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজমান আজিজ মোহাম্মদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরু আজ
ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
২ মাস আগে
পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ-সংক্রান্ত সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি
পাসপোর্ট সেবা-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। পাসপোর্ট সেবায় দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়ম নির্মূল করতে হাইকমিশন গত ৩ বছরে গুরুত্বপূর্ণ এসব সিদ্ধান্ত নেয়। হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
১. প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশন ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করার জন্য স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন সাপেক্ষে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এ আউট সোর্সিং কোম্পানির (ইএসকেএল) সঙ্গে চুক্তি সই করে। হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়।
২. গত ১৮ এপ্রিল ২০২৪- এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব কুয়লালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের অফিস ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করেন। এদিন থেকেই মূলত ই-পাসপোর্ট সেবা যাত্রার শুরু হয়।
৩. হাইকমিশন স্টেকহোল্ডার এনালাইসিসের মাধ্যমে অনুধাবন করে যে, পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণের মাধ্যমেই দালাল বা মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের সম্পৃক্তার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
তাই দালালমুক্ত পাসপোর্ট পরিষেবা নিশ্চিত করতে ই-পাসপোর্টের আবেদন ফরম পূরণ, পাসপোর্ট ফি জমা, ছবি তোলা, বায়োমেট্রিক গ্রহণসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদনের আগ পর্যন্ত সকল কার্যক্রম আউট সোর্সিং কোম্পানি (ইএসকেএল) সম্পন্ন করবে বলে চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চুক্তির বিশেষ শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে- সুপরিসর অবকাঠামো, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া, আইওটি ভিত্তিক রিমোট মনিটরিং ও ৩ লাখ রিংগিত সিকিউরিটি ডিপোজিট ইত্যাদি।
৪. চুক্তি অনুযায়ী সেবা (আবেদন ফরম পূরণ, পাসপোর্ট ফি ব্যাংকে জমা, ছবি তোলা, বায়েমেট্রিক ইত্যাদি) গ্রহণের বিনিময়ে সেবাগ্রহীতাকে ন্যূনতম অর্থ মালয়েশিয়ান মুদ্রায় ৩২ রিঙ্গিত বা (৭ দশমিক ৩৪ মার্কিন ডলার) সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পাসপোর্ট অধিদপ্তর মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে এমআরপি প্রদানের বিষয়ে প্রতিটি এমআরপি ইস্যুর জন্য ঠিকাদারকে সার্ভিস চার্জ ৭৮ দশমিক ৪৮ রিঙ্গিত বা ১৮ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছিল।
৫. বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি লেনদেন হবে মেব্যাংকের মাধ্যমে। আউটসোর্সিং সার্ভিস চার্জ ও সরকারি ফি প্রতিটি পাসপোর্টের অনুকূলে আলাদা-আলাদা হিসাবে জমা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি স্বতন্ত্র এন্ট্রি হচ্ছে যা ডিজিটালি ও ম্যানুয়ালি মটিরিং বা যাচাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
এ প্রক্রিয়ায় আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই, বরং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের কারণে অধিকতর উন্নত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের অতি প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।
৬. প্রবাসীদের পাসপোর্ট পরিষেবা হাইকমিশন ও আউটসোর্সিং কোম্পানির মধ্যে যে চুক্তি সই করা হয়েছে তা যথাযথ বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য হাইকমিশন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
এ টাস্কফোর্স যে কোনো অভিযোগ পেলেই মান্যবর হাইকমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রয়োজেনে টাস্কফোর্স সদস্যরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য সরেজমিনে ইএসকেএলের স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
তবে আশার কথা হচ্ছে, ই-পাসপোর্ট সেবা প্রদানে এখন পর্যন্ত তেমন অভিযোগ-অনুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।
৭. মহামারী কোভিড-১৯ চলাকালে বিশেষ ব্যবস্থায় সরকারি পরিষেবা নিরবচ্ছিন্নরাখার জন্য এমআরপি পাসপোর্টের আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য পিওএস মালয়েশিয়াকে (মালয়শিয়া পোষ্ট অফিস) দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সম্প্রতি পোস মালয়েশিয়ার মাধ্যমে গৃহীত এমআরপি আবেদন টাস্কফোর্স কর্তৃক পর্যালোচনা করে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, নিরীহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরলতার সুযোগ নিয়ে এমআরপিএর আবেদন গ্রহণের নামে একটি কায়েমী স্বার্থন্বেসী সুবিধাবাদী গোষ্ঠী এ ব্যবস্থার অপব্যবহার করছে।
হাইকমিশন এখন থেকে পোস মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আবেদন ফরম গ্রহণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৮. ১৫ আগস্ট ২০২৪- এ প্রদত্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রবাসীদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) পাসপোর্ট করতে নিরুৎসাহিত করছে। এর পরিবর্তে ই-পাসপোর্ট করতে উৎসাহিত করছে।
মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব দেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে সেসব দেশে এমআরপির কার্যক্রম যথাসম্ভব সীমিত করতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব আবেদনকারীর ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে তাদের ই-পাসপোর্ট প্রদান করতে হবে।
আর কেবলমাত্র যাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নাই এবং জরুরি প্রয়োজনে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় এমআরপি পাসপোর্ট ইস্যু করবে হাইকমিশন।
৯. হাই কমিশন এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে যে, এখন থেকে আউটসোর্সিং কোম্পানি ইএসকেএলের মাধ্যমে এমআরপি আবেদন গ্রহণ করা হবে। যেখানে প্রতি আবেদন প্রক্রিয়াকরণের (আবেদন ফরম পূরণ, সরকারি ফি নেওয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তিকরণ ইত্যাদি) জন্য আরএম (আরএম ২০) সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে।
কুয়ালালামপুরে ইএসকেএল কোম্পানি তার নিজস্ব কার্যালয়ে (ই-২-২ ব্লক ই সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টার জালান দুআ, অফ, জালান চ্যান সো-লিন, ৫৫২০০ কুয়ালালামপুর), অন্য শহরে (যেমন- জহুর বাহরু, পেনাং, মালাক্কা, পোর্ট ক্লাং ইত্যাদি) হাইকমিশনের মোবাইল কনস্যুলার টিমের সঙ্গেই এসকেএলের টিম যৌথভাবে এমআরপি এবং ই-পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকমিশন।
১০. পাসপোর্টের আবেদন ফরমপূরণ, ব্যাংকে টাকা জমাসহ পাসপোর্ট প্রাপ্তির পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়ায় দালাল বা মধ্যস্বত্ত্বভোগীর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। ‘আগে আসলে আগে পাবেন’, এটাই হবে পাসপোর্ট প্রাপ্তির একমাত্র প্রক্রিয়া।
সেবাপ্রার্থীদের যাতে অনেকক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকতে না হয় সে কারণে আউটসোর্সিং কোম্পানী ৪৫টি কান্টারের মাধ্যমে সুবিশাল অবকাঠামোতে সেবা দিচ্ছে। এছাড়া ১২ ঘণ্টা কল সেন্টারের মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যার হটলাইন নম্বর- +৬০৩৯২১২০২৬৭।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন
৪ মাস আগে
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
৩৫তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ১১ থেকে ১৩ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ৭৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এই মেলায় অংশ নেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া অন্য দেশগুলো হলো- চীন, জার্মানি, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ইরান, জাপান, ভারত, হংকং ও সিংগাপুর।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়া এক্সটারনাল ট্রেড ডেভলপমেন্ট করপোরেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর ইউসুফ।
এসময় আরও ছিলেন সংসদ সদস্য (চেরাস) ও প্রধানমন্ত্রীর চীনবিষয়ক সাবেক দূত ওয়াইবি তান কোক ওয়েই এবং ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও মালয়েশিয়া-চায়না ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড লিংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দাতো চং চং তিক।
মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মেলা ও বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়াও বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো এ
ধরণের গুরুত্বপূর্ণ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা যায়।
রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরনের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এর স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটপণ্য, খাদ্যপণ্য এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়াও, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, প্যাকেজিং শিল্প, বাংলাদেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা, পর্যটন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকাস্থ এলিয়েন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমান প্লাস্টিক , এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেড , কিউ পেইল, এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিক, প্রিমিয়াফ্লেক্স প্লাস্টিক লিমিটেড, আরএফএল কোম্পানির প্লাস্টিকপণ্য, নওগাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মাফিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, রাজা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফেয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মেশিন ঘর ওয়ার্কস, বায়োনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, সুইস বায়োহাইজেনিক ইকুইপমেন্টসের তথ্যবহুল প্রকাশনা, ড্যানিশ, তীর , প্রাণ কোম্পানির খাদ্যসামগ্রী এবং কেএডব্লিউ এপারেলস, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড, স্কয়ার টেক্সটাইল, এনজেড টেক্স গ্রুপ, আরবিডি ফাইবারস লিমিটেডের তৈরি পোশাক সামগ্রীর সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলে বিদেরি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত প্লাস্টিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য সম্পর্কে আগ্রহ বেশি দর্শনার্থীদের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
৫ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মালয়েশিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই ) কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে অবস্থিত আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেকে এনআইডি করতে পারেননি। এনআইডি না থাকায় তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা বিবেচনা করে মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ।
তিনি বলেন, বিশ্বের ৪০টি দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু হলো।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এনআইডি সে মর্যাদার পরিচয় বহন করে।
মতবিনিময় সভায় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি, সামাজিক -সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, প্রবাসী সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রতিনিধিদল এবং হাইকমিশন ও এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
৫ মাস আগে
নাজিবের গৃহবন্দি থেকে কারাভোগের আবেদন নাকচ
কারাবাসের অবশিষ্ট দিনগুলো গৃহবন্দি হয়ে কাটাতে মালয়েশিয়ার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন দেশটির দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তবে তার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
এ বছরের এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট আবেদনটি করেন নাজিবের আইনজীবী।
আবেদনপত্রে বলা হয়, নাজিবের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে যে, তৎকালীন রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ একটি ‘সংযোজন আদেশ’ জারি করেছিলেন, যাতে তাকে গৃহবন্দি অবস্থায় থেকে সাজা শেষ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় তহবিলের কয়েক বিলিয়ন ডলার তছরুপের দায়ে নাজিবকে ২০২২ সালে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মামলায় নাজিব রাজাক দোষী সাব্যস্ত
তবে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বাদশাহ সুলতান আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ক্ষমা বোর্ডের এক বৈঠকে তার সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৬ বছর করা হয়। সেইসঙ্গে কমানো হয় জরিমানার পরিমাণও। ওই বৈঠকেই রাজা সংযোজন আদেশটি জারি করেন বলে দাবি নাজিবের।
বুধবার (৩ জুলাই) হাইকোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নাজিবের আইনজীবী মোহাম্মদ শফি আবদুল্লাহ বলেছেন, বিষয়টি হতাশাজনক। এই ধরনের আদেশের (সংযোজন) অস্তিত্ব আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য সরকার কোনো আইনি পদক্ষেপই নেয়নি।
আদালতও বিষয়টি তুলেছে জানিয়েছে শফি আবদুল্লাহ বলেন, ‘সরকারের আইনগত কোনো দায়বদ্ধতা না থাকলেও নৈতিকতার দিক থেকে জবাবটি দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।’
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন বলে জানান তিনি।
আবেদনপত্রে মালয়েশিয়ার ক্ষমা বোর্ড, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে রাজার আদেশ গোপন করার অভিযোগ করেছেন নাজিব। রাজা সুলতান আবদুল্লাহর পাঁচ বছরের শাসনকাল শেষ হয় গত ৩১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা: নাজিবের ১২ বছরের সাজা বহাল
এ অভিযোগের পর কেউ তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, তিনি ক্ষমা বোর্ডের সদস্য নন। তাই এমন আদেশের বিষয়ে তার জানা নেই।
উল্লেখ্য, দুই বছর ধরে কারাবাস করছেন নাজিব রাজাক। ৬ বছর কমানোর ফলে তার সাজার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮ সালের ২৩ আগস্ট।
৫ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চান হাইকোর্ট
মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হাসান দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিক এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব, পুলিশের আইজি ও বায়রা মহাসচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আদালতে শুনানিতে ছিলেন, রিটকারি আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব পোদ্দার।
তানভীর আহমেদ বলেন, ২ জুন এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়। রবিবার (৩০ জুন) শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।
গত ২ জুন ‘৩০ হাজার যুবকের স্বপ্ন ভেঙে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সানভীস বাই তনি শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় মালয়েশিয়া
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে মালয়েশিয়া বিনিয়োগ বাড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মো. হাসিম।
সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে ও বাড়াতেই চায়, কিন্তু নানা শুল্ক, বাড়তি কর ও বাড়তি মূসক এই খাতের অগ্রগতিকে ধীর করে দিচ্ছে। এ নিয়ে রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে আশা করি।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে গাফিলতির তদন্ত করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ান কোম্পানি আমাদের আইসিটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। পারস্পরিকভাবে সে পরিবেশ তৈরিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করে মালয়েশিয়া। নতুন করে রাজস্ব না বাড়িয়ে সেবার মান বাড়লে আইসিটি সেক্টরে নতুন খাত তৈরি হবে। এতে রাজস্ব আহরণ ও বিনিয়োগ বাড়বে।’
৬ মাস আগে