মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
৩৫তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ১১ থেকে ১৩ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ৭৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এই মেলায় অংশ নেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া অন্য দেশগুলো হলো- চীন, জার্মানি, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ইরান, জাপান, ভারত, হংকং ও সিংগাপুর।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়া এক্সটারনাল ট্রেড ডেভলপমেন্ট করপোরেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর ইউসুফ।
এসময় আরও ছিলেন সংসদ সদস্য (চেরাস) ও প্রধানমন্ত্রীর চীনবিষয়ক সাবেক দূত ওয়াইবি তান কোক ওয়েই এবং ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও মালয়েশিয়া-চায়না ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড লিংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দাতো চং চং তিক।
মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মেলা ও বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়াও বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো এ
ধরণের গুরুত্বপূর্ণ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা যায়।
রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরনের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এর স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটপণ্য, খাদ্যপণ্য এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়াও, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, প্যাকেজিং শিল্প, বাংলাদেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা, পর্যটন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকাস্থ এলিয়েন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমান প্লাস্টিক , এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেড , কিউ পেইল, এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিক, প্রিমিয়াফ্লেক্স প্লাস্টিক লিমিটেড, আরএফএল কোম্পানির প্লাস্টিকপণ্য, নওগাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মাফিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, রাজা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফেয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মেশিন ঘর ওয়ার্কস, বায়োনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, সুইস বায়োহাইজেনিক ইকুইপমেন্টসের তথ্যবহুল প্রকাশনা, ড্যানিশ, তীর , প্রাণ কোম্পানির খাদ্যসামগ্রী এবং কেএডব্লিউ এপারেলস, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড, স্কয়ার টেক্সটাইল, এনজেড টেক্স গ্রুপ, আরবিডি ফাইবারস লিমিটেডের তৈরি পোশাক সামগ্রীর সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলে বিদেরি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত প্লাস্টিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য সম্পর্কে আগ্রহ বেশি দর্শনার্থীদের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মালয়েশিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই ) কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে অবস্থিত আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেকে এনআইডি করতে পারেননি। এনআইডি না থাকায় তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা বিবেচনা করে মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ।
তিনি বলেন, বিশ্বের ৪০টি দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু হলো।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এনআইডি সে মর্যাদার পরিচয় বহন করে।
মতবিনিময় সভায় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি, সামাজিক -সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, প্রবাসী সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রতিনিধিদল এবং হাইকমিশন ও এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নাজিবের গৃহবন্দি থেকে কারাভোগের আবেদন নাকচ
কারাবাসের অবশিষ্ট দিনগুলো গৃহবন্দি হয়ে কাটাতে মালয়েশিয়ার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন দেশটির দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তবে তার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
এ বছরের এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট আবেদনটি করেন নাজিবের আইনজীবী।
আবেদনপত্রে বলা হয়, নাজিবের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে যে, তৎকালীন রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ একটি ‘সংযোজন আদেশ’ জারি করেছিলেন, যাতে তাকে গৃহবন্দি অবস্থায় থেকে সাজা শেষ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় তহবিলের কয়েক বিলিয়ন ডলার তছরুপের দায়ে নাজিবকে ২০২২ সালে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মামলায় নাজিব রাজাক দোষী সাব্যস্ত
তবে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বাদশাহ সুলতান আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ক্ষমা বোর্ডের এক বৈঠকে তার সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৬ বছর করা হয়। সেইসঙ্গে কমানো হয় জরিমানার পরিমাণও। ওই বৈঠকেই রাজা সংযোজন আদেশটি জারি করেন বলে দাবি নাজিবের।
বুধবার (৩ জুলাই) হাইকোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নাজিবের আইনজীবী মোহাম্মদ শফি আবদুল্লাহ বলেছেন, বিষয়টি হতাশাজনক। এই ধরনের আদেশের (সংযোজন) অস্তিত্ব আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য সরকার কোনো আইনি পদক্ষেপই নেয়নি।
আদালতও বিষয়টি তুলেছে জানিয়েছে শফি আবদুল্লাহ বলেন, ‘সরকারের আইনগত কোনো দায়বদ্ধতা না থাকলেও নৈতিকতার দিক থেকে জবাবটি দেওয়া উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।’
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন বলে জানান তিনি।
আবেদনপত্রে মালয়েশিয়ার ক্ষমা বোর্ড, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে রাজার আদেশ গোপন করার অভিযোগ করেছেন নাজিব। রাজা সুলতান আবদুল্লাহর পাঁচ বছরের শাসনকাল শেষ হয় গত ৩১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা: নাজিবের ১২ বছরের সাজা বহাল
এ অভিযোগের পর কেউ তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, তিনি ক্ষমা বোর্ডের সদস্য নন। তাই এমন আদেশের বিষয়ে তার জানা নেই।
উল্লেখ্য, দুই বছর ধরে কারাবাস করছেন নাজিব রাজাক। ৬ বছর কমানোর ফলে তার সাজার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮ সালের ২৩ আগস্ট।
মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চান হাইকোর্ট
মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হাসান দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিক এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব, পুলিশের আইজি ও বায়রা মহাসচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আদালতে শুনানিতে ছিলেন, রিটকারি আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব পোদ্দার।
তানভীর আহমেদ বলেন, ২ জুন এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়। রবিবার (৩০ জুন) শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।
গত ২ জুন ‘৩০ হাজার যুবকের স্বপ্ন ভেঙে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সানভীস বাই তনি শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় মালয়েশিয়া
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে মালয়েশিয়া বিনিয়োগ বাড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মো. হাসিম।
সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে ও বাড়াতেই চায়, কিন্তু নানা শুল্ক, বাড়তি কর ও বাড়তি মূসক এই খাতের অগ্রগতিকে ধীর করে দিচ্ছে। এ নিয়ে রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে আশা করি।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে গাফিলতির তদন্ত করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ান কোম্পানি আমাদের আইসিটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। পারস্পরিকভাবে সে পরিবেশ তৈরিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করে মালয়েশিয়া। নতুন করে রাজস্ব না বাড়িয়ে সেবার মান বাড়লে আইসিটি সেক্টরে নতুন খাত তৈরি হবে। এতে রাজস্ব আহরণ ও বিনিয়োগ বাড়বে।’
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া যারা এ সমস্যার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দেশে-বিদেশে কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (২ জুন) মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৩১ মে পর্যন্ত বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গিয়েছেন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার বরাবরই আন্তরিক ছিল। পত্রিকায় জরুরি বিজ্ঞপ্তি সম্মিলিত বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মীদের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি।
সিন্ডিকেটের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দেশ জনশক্তি নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তবে, সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না। সরকার অনুমোদিত সব এজেন্সি যেন লোক পাঠাতে পারে, সেটা চায়।
মালয়েশিয়ার শ্রমমাজার শিগগিরই খোলার বিষয়ে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন জানান, ২৪ মের পর থেকে যাদের টিকিট ছিল শুধু তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক।
আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এবং প্রতিবেদনের সুপরিশের আলোকে দোষীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে গাফিলতির তদন্ত করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ৩ দেশ সফরে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে গাফিলতির তদন্ত করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়াও এ সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১ জুন) দুপুরে সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদরাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো সম্পন্ন করতে কাজ চলছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, পাঁচ লাখেরও বেশি কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়া সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। বায়রা সেই তালিকা দিতে না পারায় ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা সমাধানে দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। যারা হয়রানি করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকতা পেশায় সাফল্য এবং আলোকিত মানুষের দ্বারা দেশ গড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার কমিটমেন্ট। এ জন্য শিক্ষকদেরও কমিটমেন্ট থাকতে হবে।
মাদরাসা শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো দিক দিয়ে পিছিয়ে না থাকে, সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিভিন্ন ধরনের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ৩ দেশ সফরে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
দেশে-বিদেশে কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়েছে। এক নবজাতক ও দুইজন তরুণ বাংলাদেশির আবেদন স্লিপ প্রদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে এক্সপাট সার্ভিসেস নামে একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
সুরক্ষা সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ২০২০ সালে প্রথম ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়। এ পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা কোড রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালু করা হলো।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
এর মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেবার মান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো স্মার্ট ও দ্রুততর হবে এবং পাসপোর্ট সেবায় গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মাসুদ চৌধুরী আরও বলেন, এ পাসপোর্টের মাধ্যমে উন্নত দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশিরাও শিগগিরই নিজে স্ক্যান করে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মর্যাদা আরও বাড়বে এবং বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন, সংখ্যার বিচারে যা সৌদি আরবের পর বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে হাইকমিশনে ক্রমান্বয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা। ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের’ মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে ই-পাসপোর্ট সেবার ব্যবস্থা করেছে হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ বিষয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (ভিসা ও পাসপোর্ট) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ নুরুস ছালাম, হাইকমিশনের মিনিস্টার ও ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মালয়েশিয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান- মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামিম আহসান।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক দিনটির প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় শুরুতে বঙ্গবন্ধু এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। এই ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত ৭ই মার্চের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেসকো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’- এ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর 'সোনার বাংলা' নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তার কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
হাইকমিশনার প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধমে রেমিট্যান্স পাঠানোর এবং সার্বজনীন পেনশন স্কীমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
আলোচনার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ভ্রাতৃপ্রতীম দুইটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ডাকভবনের দপ্তরে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মো. হাসিম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় অভিন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ বৈদেশিক কর্মক্ষেত্র হিসেবে মালয়েশিয়ায় অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন পলক।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের জন্য মালয়েশিয়া অত্যন্ত গর্বিত।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাকভবনে ডাক অধিদপ্তরে ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন বিষয়ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তর ও মধুমতি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক