বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) দক্ষতার সাথে স্তন্যপান করানোর পরামর্শ পাওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিক করা ও মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর বিষয় প্রচারে এক যৌথ বিবৃতিতে সকল দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ। যা শিশু ও মা উভয়েরই স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও আবেগের ক্ষেত্র তৈরি করে।
শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো একটি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা জোরদার করতেও সহায়তা করে বলে জানিয়েছে ইউএন নিউজ।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো একটি স্বভাবজাত প্রক্রিয়া হলেও সবসময় এটা সহজ হয়ে ওঠে না।’
‘শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা এবং তা বজায় রাখতে মায়েদেরকে সহায়তা করা প্রয়োজন।’
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মায়েরা নিয়মিত স্তন্যদানের মাধ্যমে প্রতিবছর ৮ লাখ ২০ হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে। যা প্রায় ৩০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমান অতিরিক্ত আয়ের উৎস হতে পারে।
সারা বিশ্বের নারীদের উৎসাহিত ১৯৯২ সালে প্রথম বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন শুরু করা হয়। প্রতিবছর ১ থেকে ৭ আগস্ট এটি পালন করা হয়।