মঙ্গলবার সকালে মুন সস্ত্রীক পিয়নংইয়ং এ পৌঁছালে তাদের বিমানবন্দরে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন ও তাঁর স্ত্রী রি সোল-জু।
মুনের চীফ অব স্টাফের দেয়া তথ্যানুসারে, আজ (মঙ্গলবার) ও বুধবার কিমের সাথে আলোচনায় বসবেন মুন এবং সবকিছু ঠিকমতো হলে বুধবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারেন দুই নেতা।
ধারণা করা হচ্ছে, এবারের সফরে প্রেসিডেন্ট মুন ও কিমের আলোচনায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, দুই দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কোরিয়ান উপদ্বীপে পুনর্মিলনকে তাদের আগের প্রতিশ্রুতিগুলিকে পুনর্বিবেচনা করবে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় বেশ কড়াকড়ি আনা হয়েছে। এসোসিয়েটেড প্রেসের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর অথবা শহরে গাড়ি চালানোর অনুমেতি চেয়েও পাওয়া যায়নি।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে মুনের তৃতীয়বার সাক্ষাৎ হলেও দেশটিতে এটাই তার প্রথম সফল। কারণ এর আগের দুবারই তারা সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজামে মিলিত হয়েছেন।
বিশ্বকে চমকে দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকে আলোচনার টেবিলে আসে উত্তর কোরিয়া। ইতিমধ্যে দেশটি দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সাথে বৈঠক করেছে।
আর কিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাক যুদ্ধে পর উত্তর কোরিয়ার সাথে সমঝোতার ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে।
সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিম বৈঠকের পরও পরমানু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিতে একধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে চাপে থাকা মুন সেই আলোচনা ত্বরান্বিত করতেই এ সফর করছে।
পিয়ংইয়ং এ যাওয়ার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জানান, তিনি ‘অপরিবর্তনীয় ও স্থায়ী শন্তির’ জন্য কাজ করবেন এবং পিযংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আরো ভালো আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
মুন বলেন, উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের স্থিমিত হওয়া আলোচনাকে এগিয়ে নিতে পারলে এবারের সফর খুবই অর্থপূর্ণ হবে।
তিনি আরো বলেন, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া ঘন ঘন সাক্ষাৎ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা এমন এক জায়গায় পৌঁছেছি, যেখানে যেকোনো সময় আমরা সাক্ষাৎ করতে পারি।
তবে মুনের চিফ অব স্টাফকে কিমের পরমাণু নিরস্ত্রকরণের ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী হতে দেখা যায়নি।