‘সর্বনাশা যাত্রী’ শিরোনামে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থার (আইওএম) শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ৩২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে এক হাজার ৬০০টি শিশু এবং যাদের বয়স ছয় মাসের মতো।
তবে সত্যিকার সংখ্যাটা উল্লেখিত সংখ্যার চেয়ে আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে আইওএম। কারণ হিসেবে তারা বলছে, অনেক মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বা পাওয়া যায়নি।
এদিকে অভিবাসী শিশুর মৃত্যু সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি এমন সময় প্রকাশ করা হলো, যখন আয়লান কুর্দির মুখ থুবড়ে পড়া লাল জামার শরীরটার মতো সালভাদরের এক বাবা ও তার মেয়ে শিশুর মৃতদেহ ভেসে ওঠা শরীর অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের নীতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে আমেরিকায় আসার বেপরোয়া কাফেলায় ছিলেন এল সালভাদরের নাগরিক অস্কার (২৫)। দুই বছর বয়সী মেয়ে ভ্যালেরিয়া ও ২১ বছরের স্ত্রীকে নিয়ে ২৩ জুন মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
অবৈধ ও বিপজ্জনক অভিযাত্রায় রিও গ্র্যান্ডে নদী পাড়ি দিতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অস্কার ও তার মেয়ের। পরদিন ২৪ জুন তীরের কাছাকাছি বাবা-মেয়ের মরদেহ ভেসে ওঠে।
তুরস্কের সমুদ্রসৈকতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার আয়লান কুর্দির ছোট্ট দেহটি নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বকে, বিশ্ববিবেককে। ভ্যালেরিয়ার ঘটনাও যেন তার পুনরাবৃত্তি।
শরণার্থী সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রতিবছরই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে এ সংখ্যা এক হাজার ৯০০ ছাড়িয়েছে।