যুদ্ধ, সন্ত্রাসী হামলা, নির্বাচনী অনিয়ম, বিমান দুর্ঘটনা, জলবায়ু সংকট, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, আগ্নেয়গিরি কিংবা বিস্ফোরণ- এমন সংবাদ খারাপ খবরের মধ্যে কিছু ভালো খবরও ছিলো। খবর: বিবিসি বাংলা’র।
মৃত্যু থেকে ফিরে আসা বিশাল কচ্ছপ: বিশালাকৃতির কচ্ছপ বা কাছিম। একশ বছর আগে এটি হারিয়ে গিয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। সেটিকেই পাওয়া গেলো ইকুয়েডর উপকূল থেকে এক হাজার কিলোমিটার দুরে প্রশান্ত মহাসাগরের গ্যালাপাগোজ দ্বীপে।
এই প্রজাতির কচ্ছপ সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯০৬ সালে। তার বয়স একশ বছর কিন্তু সম্ভবত তার প্রজাতির জীবিতদের মধ্যে তিনিই একমাত্র নন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা তার আরও কিছু স্বজন আছে আশেপাশেই।
সামুদ্রিক কচ্ছপের জন্য এটি অত্যন্ত ভালো সংবাদ। ১৯৭৩ সালে সংরক্ষিত প্রজাতি ঘোষণার পর থেকে সামুদ্রিক কচ্ছপের সংখ্যা বেড়েছে ৯৮০%।
ফিরে আসার তিমি: কুঁজো তিমির সংখ্যা বেড়েছে ৯৩ শতাংশ এবং ১৯৮০ এর দশকে হারিয়ে যাওয়ার যে আশংকা তৈরি হয়েছিলো সেটি দুর করে ২০১৯ সালে এর প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ হাজারে।
শতবর্ষ জুড়ে তিমি শিকারের কারণে আটলান্টিকের দক্ষিণ পশ্চিমে এটি হারিয়ে যাচিছলো কিন্তু সে প্রবণতা এখন বন্ধ হয়েছে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বড় আবিষ্কার: যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা মানবকোষকে রূপান্তর করেছে ইনসুলিন-উৎপাদিত সেলে। আর এই বড় উদ্ভাবনটিই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বড় আশা তৈরি করেছে।
আলঝেইমার্স: একটি নয়, কিন্তু তিনটি কারণে আশাবাদী হওয়ার মতো যুক্তি আছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন তারা রোগটির অগ্রগতি কমিয়ে দিতে সক্ষম হবেন।
তারা বলছেন মস্তিষ্কের কোষে আলঝেইমার সৃষ্টির মাধ্যমে অর্জিত সাফল্য ভবিষ্যৎ চিকিৎসায় বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
বার্কলের গবেষকরা বলছেন, তারা ঔষধের মাধ্যমে মস্তিষ্কের প্রদাহ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে যা রোগটির গতি কমিয়ে দেবে। আর জার্মানির বিজ্ঞানীরা বলছে লক্ষ্মণ দেখার আগেই রোগটিকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
এইচআইভি: লানচেট মেডিকেল জার্নালের সমীক্ষা অনুযায়ী চিকিৎসার মাধ্যমে যৌন সংসর্গের দ্বারা এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো যাবে।
প্রায় এক হাজার সমকামী জুটির ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা যাদের প্রতিটি জুটির একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত এবং তাতে চিকিৎসার সাহায্যে তাদের যৌন সংসর্গের মাধ্যমে সংক্রমণ ঠেকানো হয়েছে।
ম্যালেরিয়া মুক্ত হলো আলজেরিয়া ও আর্জেন্টিনা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে আলজেরিয়া ও আর্জেন্টিনা ম্যালেরিয়া রোগ মুক্ত। এর ফলে বিশ্বের ৩৮টি দেশ মশাবাহিত এ রোগটি থেকে মুক্ত হলো।
লোহিত সাগরের প্রবাল প্রাচীর: লোহিত সাগরের প্রবাল প্রাচীর সংরক্ষণে জোট বেঁধেছে ইসরায়েল ও তার আরব প্রতিবেশীরা।
পর্যটকদের আধিক্য, সি ওয়াটার ওয়ার্মিংসহ নানা কারণে প্রবালের সংখ্যা হুমকি মুখে ছিলো। এর দক্ষিণে কিছু প্রাচীর ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও উত্তরের দিকে এগুলো ভালোই আছে।
এখন ইসরায়েল, জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব, ইয়েমেন, ইরিত্রিয়া, জিবুতি ও সুদান মিলে তৈরি করবে রেড সি ট্রান্জেশনাল রিসার্চ সেন্টার যা পরিচালিত হবে সুইস ফেডারেল ইন্সটিউট অফ টেকনোলজি ও পরীক্ষা হবে কিভাবে প্রবাল প্রাচীরের ক্ষতি রোধ করা যায়। আশা করা যায় এর মাধ্যমে রক্ষা পাবে প্রবাল প্রাচীর।
সবুজ হচ্ছে পৃথিবী: নাসা বলছে পৃথিবী ২০ বছর আগের চেয়েও পাঁচ শতাংশ বেশি সবুজ হয়েছে। বিশ্বজুড়ে নিবিড় কৃষিকাজ, ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ হয়েছে বিশেষ করে আফ্রিকা, ভারত ও চীনে।