পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ফাইজারের টিকা কাজ করছে। আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা দেয়ার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে শিশুদের ওপর টিকার পরীক্ষা চালানোর পর সোমবার মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট ফাইজার এ কথা জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এই বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার জন্য শিগগিরই তারা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন চাইবে।
ফাইজার এবং এর জার্মান অংশীদার বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের দেয়া হচ্ছে। কিন্তু শিশুরা এখন স্কুলে ফিরে এসেছে এবং করোনার অতিরিক্ত সংক্রামক ডেল্টা ধরনের কারণে শিশুদের সংক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক অভিভাবক তাদের ছোট শিশুদের টিকা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা পাবে ফাইজার-মডার্নার টিকা
ফাইজারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বিল গ্রুবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, প্রাথমিক স্কুলগামী শিশুদের জন্য ফাইজার অনেক কম ডোজ পরীক্ষা করেছে যা এখন দেয়া প্রতিটি শটের পরিমাণের এক তৃতীয়াংশ। এতে দেখা গেছে, শিশুদের শরীরে অ্যান্টিবডি বেড়েছে এবং যার মাধ্যমে তারা করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে সক্ষম।
শিশুদের ডোজ নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। কম সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - যেমন ক্ষত, জ্বর বা ব্যথা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের আরও ১০ লাখ টিকা দেশে
গ্রুবার বলেন, ফাইজার ও বায়োটেকের লক্ষ্য হচ্ছে, এই মাসের মধ্যে এই বয়সী শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেয়ার জন্য খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা এবং কিছুদিন পরে ইউরোপীয় ও ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রকদের কাছে আবেদন করা।
একজন বাইরের বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিজ্ঞানীরা আরও বিস্তারিত দেখতে চান। তবে প্রতিবেদনটিকে তিনি উৎসাহজনক বলেছেন।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজের অনুমোদন চেয়েছে ফাইজার
জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন এফডিএ ভ্যাকসিন প্রধান ড. জেস গডম্যান বলেন, শিশুদের ওপর ফাইজারের চালানো এই পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো। প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রা ‘প্রতিরক্ষামূলক’ বলে মনে হচ্ছে।