তিনি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রমালিকানাধীন চার ব্যাংক-বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), অগ্রণী, জনতা ও সোনালী ব্যাংকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করব। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে আগে থেকে থাকা রূপালী ব্যাংক বাজারের শেয়ারের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বাড়াবে।’
অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের স্টেকহোল্ডারদের সাথে এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান।
কামাল বলেন, বৈঠকে বিডিবিএলকে প্রথমে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এবং সবশেষে সোনালী ব্যাংকে তালিকাভুক্ত করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। কমিটিতে চারটি ব্যাংকের একজন করে থাকবেন এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এ বিষয়টি সমন্বয় করবে।’
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের শেয়ারবাজারে আসতে কিছুটা সময় লাগবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাকি ব্যাংকগুলো এবছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সাতটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করা হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবিএল), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড।