কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যসহ কমিউনিটি ব্যাংকের সব গ্রাহক এখন তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন এবং বিকাশ থেকে কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমাও দিতে পারবেন।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এই যৌথ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন দেশের যে কোন স্থান থেকে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন লেনদেন করতে পারবেন। দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটাতে এখন ব্যাংক শাখায় যাওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
পাশাপাশি সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা কমিউনিটি ব্যাংকের ১৬৫টি এটিএম বুথ থেকে শতকরা ১.৪৯ হারে ক্যাশ আউট সেবাও নিতে পারবেন বিকাশের সাড়ে পাঁচ কোটি গ্রাহক।
আরও পড়ুন: দারাজে পেমেন্ট বিকাশ করলে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
সুবিধাবঞ্চিতদের ঈদ উদযাপনে বিকাশে অনুদান দেয়া যাবে
এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যসহ কমিউনিটি ব্যাংকের সব গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং লেনদেন আরও সহজ, নিরাপদ এবং সময় ও খরচ সাশ্রয়ী হলো। পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহকের কাছে কমিউনিটি ব্যাংকের সব সৃজনশীল সেবাকে পৌঁছে দেয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
এই সেবা পেতে প্রথমে গ্রাহকদের বিকাশ অ্যাপ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মধ্যে লিংক স্থাপন করতে হবে। লিংক স্থাপনের ক্ষেত্রে উভয় অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি তথ্য একই হতে হবে। লিংক স্থাপন হয়ে গেলে বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’ এর মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন এবং প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাপ ‘কমিউনিটি ক্যাশ’ থেকেও বিকাশ অ্যাকাউন্টে অ্যাড মানি করতে পারবেন গ্রাহক। কমিউনিটি ক্যাশ অ্যাপে নিজের অথবা প্রিয়জনের নম্বর বেনিফিশিয়ারি হিসেবে যুক্ত করে এই অ্যাড মানি সেবা নেয়ার সুযোগ থাকবে।
আবার ব্যাংকে না গিয়ে কমিউনিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেয়াসহ ডিপিএস, ঋণের কিস্তি ইত্যাদি নানাবিধ সেবা বিকাশ অ্যাপের ‘ট্রান্সফার মানি’ এর মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই নিতে পারবেন। অ্যাড মানি বা ট্রান্সফার মানি উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘ট্রানজেকশন লিমিট’ প্রযোজ্য হবে।
ড. বেনজীর আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা পুলিশের ব্যাংক করতে চাইনি। আমরা জনগণের জন্য ব্যাংক করেছি। কারণ পুলিশ কমিউনিটির জন্য, মানুষের জন্য কাজ করে।’
তিনি বলেন, কমিউনিটি ব্যাংক গত দুবছরে অনেক দূর এগিয়েছে। আগামীতে এর গতি আরও ত্বরান্বিত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মসিউল হক চৌধুরী বলেন, ‘যাত্রা শুরুর মাত্র দুবছরের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যসহ অসংখ্য গ্রাহকের নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে আমরা প্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক সব সেবা যুক্ত করেছি। বিকাশের সাথে এই দ্বিমুখী লেনদেন আমাদের গ্রাহকদের আরও বৈচিত্র্যময় এবং সৃজনশীল সেবা নেয়ার সুযোগ এনে দিল।’
বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। কমিউনিটি ব্যাংকের সাথে আমাদের এই যৌথ সেবা তাদের প্রতিদিনকার প্রয়োজনসহ যেকোন জরুরি আর্থিক লেনদেনকে সহজ করবে এবং দূরে থেকেও পরিবার ও স্বজনের পাশে থাকার সুযোগ এনে দেবে।’