শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে বিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে কারখানা চালু রেখে লবণ প্রক্রিয়াজাত করে ডিলার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে সরবরাহ অব্যাহত রাখতে লবণ মিল মালিকদের দাপ্তরিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ডিলার/পাইকারি বিক্রেতা পর্যায়ে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলো সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলাভিত্তিক ডিলার ও পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করছে। এটি প্রণয়ন সম্পন্ন হলে বিভিন্ন এতিমখানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তালিকা সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, ঈদুল আজহাকেন্দ্রিক লবণ সরবরাহ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করতে লবণ জোনগুলোতে অবস্থিত বিসিক কার্যালয়, বিসিকের আঞ্চলিক কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয়ে পৃথক মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সকল কমিটি মাঠ পর্যায়ে লবণের মজুদ, চলাচল ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্যাদি নিয়মিত সংগ্রহ ও মনিটরিং করছে।
বিসিক জানিয়েছে, বর্তমানে লবণ মাঠে ১০ লাখ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন এবং লবণ মিলগুলোতে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টনসহ দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবণের মোট মজুদের পরিমাণ ১২ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া, দেশের সকল জেলায় অবস্থিত ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহার সময় দেশব্যাপী মোট লবণের চাহিদা কম-বেশি ১ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান মজুদ দিয়েই ঈদুল আজহাসহ আগামী ৭ থেকে ৮ মাসের লবণের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, অগামী নভেম্বর থেকে লবণ উৎপাদনের নতুন মওসুম শুরু হবে। ফলে এ বছর লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলে বিসিক জানিয়েছে।