তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে সব পরিস্থিতির বন্ধু হিসাবে এবং উভয় দেশের সুবিধার জন্যই তুলা রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে ভারত আমাদের তালিকার শীর্ষে থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে ২০ লাখ বেল তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সিডিবির
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ভারত কটন মেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মতলুব আহমদ, আইসিএএল (ইন্ডিয়ান কটন এসোসিয়েশন লিমিটেড) প্রেসিডেন্ট মহেশ শারদা এবং বিসিএ (বিডি কটন অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতি সুলতান রিয়াজ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পোশাক খাত
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, গত দশ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তুলা উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ হাজার বেল থেকে প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার বেলে উর্ত্তীণ হয়েছে।
তবে বার্ষিক প্রায় ৮০ লাখ বেলসের চাহিদার তুলনায় দেশিয় উৎপাদন এখনও অপ্রতুল বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরে পোশাক রপ্তানি দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ তার শীর্ষ সরবরাহকারীর কাছ থেকে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন তুলা আমদানি বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেবে।
‘আমরা জানি যে ভারত বিভিন্ন জাত, মান, বৈশিষ্ট্য এবং রং-এর তুলা উৎপাদন করে, যা বিশ্ব বাজারে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগী করে তুলেছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: যাত্রা শুরু করেছে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের বিটুবি প্ল্যাটফর্ম ‘মার্চেন্ট বে’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি।
‘অন্তত ৪২টি দেশ থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় তুলার ৯৮ শতাংশেরও বেশি আমদানি করার প্রয়োজন হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬১ লাখ বেল তুলা আমদানি হয়েছে। আমদানির ওপর অত্যাধিক নির্ভরতা এখন তুলা উৎপাদনের দিকে আমাদের এখন যথাযথ নজর দেয়া দরকার,’ বলেন তিনি।
শাহরিয়ার বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই মেলা তুলা উৎপাদনের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং সুতার প্রাসঙ্গিক খাত ও অংশীদারদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ সৃষ্টি করবে।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক খাতে অতিরিক্ত ১ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), ইন্ডিয়ান কটন অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড (আইসিএল) এবং ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সহযোগিতায় এই মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ)।
ভারতের ৩০টিরও বেশি সংস্থা এ মেলায় অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু: নতুন হাইকমিশনার দোরাইস্বামী