তিনি বলেন, বর্তমানে আশুগঞ্জ সার কারখানাটির যে নাজুক অবস্থা তা থেকে উত্তরণের জন্য কারখানাটির নষ্ট ও পুরনো যন্ত্রপাতি পুন:স্থাপন করা হবে। এরপরও যদি কোনো পরিবর্তন না হয় সেক্ষেত্রে নতুন সার কারখানা স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে যাতে কোনো ধরনের সার আমদানি করতে না হয় সেজন্য সকলকে দেশীয় সার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তিনি তাগিদ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় আশুগঞ্জ ইউরিয়া সা রকারখানা এখন আর হচ্ছে না। নরসিংদীর পলাশে বছরে ১০ লাখ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন একটি কারখানা হচ্ছে। ‘যার কারণে নতুন কোনো সার কারখানা করার পরিকল্পনা এই মুহূর্তে সরকারের নেই,’ যোগ করেন তিনি।
কারখানায় নাইট্রোজেন কেনার নামে কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, অর্থ আত্মসাতের সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
‘এর সাথে আরও কারা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। যারাই এর সাথে জড়িত থাকবে তাদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাপশি আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হবে,’ বলেন তিনি।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সার নিয়ে যাতে পত্রিকায় লেখালেখি না হয় সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষক যাতে সময় মতো সার পায় সেজন্য সবাইকে কাজে আসতে হবে এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
এসময় বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. হাইয়ুল কাইয়ুম, আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।