রবিবার সচিবালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে বিএসআরএম-এর লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উভয়পক্ষের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই আমরা যুক্তিযুক্ত ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেছি। ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার আগে আমরা প্রায় সব শ্রমিক সংগঠনের নেতার সাথে আলোচনা করেছি এবং তারা কাঠামোর সাথে একমত হয়েছে।’
‘আমি মনে করি বেশির ভাগ গার্মেন্ট শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি মেনে নেবেন। কোনো অস্থিরতা হওয়ার সুযোগ নেই, কারণ মজুরি ৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কিছু শ্রমিক সংগঠনের আপত্তির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কে মানবে, কে মানবে না সেটা তাদের বিষয়। তবে এটা মিনিমাম। এর নিচে কেউ বেতন দিতে পারবে না।’
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার, আগামী ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
নতুন মজুরি কাঠামোতে মূল বেতন ৪,১০০ টাকা।
এই ন্যূনতম মজুরি বাতিলের দাবি জানিয়ে তা ১৬ হাজার করার কথা বলেছেন কিছু গার্মেন্ট শ্রমিক।
২০০৬ সালে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ১,৬৬২.৫০ টাকা, ২০১০ সালে ৩০০০ টাকা এবং ২০১৩ সালে ছিল ৫,৩০০ টাকা।