সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। সূচক বাড়লেও চট্টগ্রামে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ঢাকায় কোম্পানিভিত্তিক দরদাম প্রায় সমান।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ এর উত্থান ছিল দশমিকের নিচে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪০১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৬, কমেছে ১৬৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরিভিত্তিক হিসাবে, এ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমেছে, বি ক্যাটাগরির দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। আর জেড ক্যাটাগরিতে দরবৃদ্ধি এবং দরপতন সমান সমান।
আরও পড়ুন: পতন দিয়ে শুরু সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৫ কোম্পানির, কমেছে ১৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১৮ কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে ব্লক মার্কেটে। মোট ৪০ লাখ শেয়ার ২১ কোটি টাকায় বেচাকেনা হয়েছে এ মাধ্যমে। ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ ৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে আছে আইসিবি এমসিএল সোনালি ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)
বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু করলেও মন্দের ভালো দেখেছে সিএসই। সারাদিনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ১ পয়েন্ট। সামান্য সূচক বাড়লেও দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
সারাদিনে লেনদেন হওয়া ২১০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৩, কমেছে ৮৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ হাউজটিতে কমেছে সামগ্রিক লেনদেন। গতকালের ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন কমে ঠেকেছে ৩ কোটি ৬৫ লাখে।
অন্যদিকে লেনদেন বেড়েছে ডিএসইতে। একদিনে মোট ৪২০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা