শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেবাটি প্রদানের জন্য এমিরেটস ঢাকা-দুবাই রুটে তাদের বিশেষ সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭-৩০০ই আর উড়োজাহাজের সাহায্যে ফ্লাইট পরিচালনা করবে, যার প্রথম শ্রেণি কেবিনে ৬টি স্যুইট, বিজনেস শ্রেণিতে ৪১টি আর ইকোনমি শ্রেণিতে ২১৩টি আসন থাকবে।
ঢাকা-দুবাই রুটে ইকে-৫৮৫ এবং দুবাই-ঢাকা রুটে ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটে প্রথম শ্রেণি সেবা পাওয়া যাবে। ইকে-৫৮৫ রাত ১টায় ঢাকা ছেড়ে ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে দুবাই পৌঁছবে। অন্যদিকে ইকে-৫৮৪ বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে দুবাই ছেড়ে রাত ১১টায় ঢাকা পৌঁছবে। সকল সময় স্থানীয়।
এমিরেটসের ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট অফিস থেকে অথবা ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে অথবা www.emirates.com/bdএর সাহায্যে টিকিট বুক করা যাবে।
প্রথম শ্রেণির কেবিনে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য রয়েছে ব্যক্তিগত স্যুইট, যার আসনটি একটি সম্পূর্ণ সমতল বিছানায় রূপান্তরযোগ্য, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত মিনিবার এবং ৩২ইঞ্চির এলসিডি টিভি। বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত প্রোইভেসি ডিভাইডারের মাধ্যমে যাত্রীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হবে। ফ্লাইটের অন্যান্য বিলাসবহুল সেবার সাথে সাথে যাত্রীরা দুবাই বিমানবন্দরের অত্যন্ত বিলাসবহুল প্রথম শ্রেণির লাউঞ্জ এবং এয়ারপোর্ট ট্রান্সফ্রারের জন্য প্রাইভেট লিমুজিন সুবিধা পাবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন বিতরণে ইউনিসেফের সাথে কাজ করবে এমিরেটস
বাংলাদেশে এমিরেটসের নতুন কান্ট্রি ম্যানেজার আল হামমাদী
২০১৭ সালে এমিরেটস তাদের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজে প্রথম শ্রেণি সেবাকে আরও উন্নত করে প্রথম শ্রেণি গেম চেঞ্জার সেবা চালু করে। গত বছর ট্রিগ এডভাইজার গ্রাহকদের দ্বারা এমিরেটস শ্রেষ্ঠ প্রথম শ্রেণি ২০২০ নির্বাচিত হয়।
এমিরেটস ১৯৮৬ সাল থেকে ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে এবং বর্তমানে ১৫টি সাপ্তাহিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ৪ মার্চ থেকে সাপ্তাহিক ফ্লাইটের সংখ্যা হবে ১৬টি। এমিরেটস যাত্রীরা ভায়া দুবাই বিশ্বের ৯০টির অধিক গন্তব্যে ভ্রমণের জন্য সুবিধাজনক সংযোগ পেতে পারেন। করোনা মাহামারিকালে বিশেষ ভূমিকার জন্য এমিরেটস গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ‘দু:সময়ের বন্ধু’ স্বীকৃতি লাভ করে।