সাম্প্রতিক বন্যার কারণে চালের উৎপাদন ব্যাপকহারে কমে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে চালের বর্তমান আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ মওকুফ করা হলে চালের দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হবে এবং থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি উৎসাহিত হবে। যেখানে শুল্ক ছাড়াই প্রতি কেজির মূল্য যথাক্রমে ৬৬ টাকা ও ৫৪ টাকা হবে।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে সরকার
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন উৎপাদন মৌসুমে বন্যার সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দুই দফা বন্যায় ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন চাল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
সরকার সম্প্রতি আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করলেও আমদানিকারকরা উচ্চ শুল্কের কারণে নিরুৎসাহিত। চালের সরবরাহকে সীমিত করছে এবং ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বানচালে ঐক্যের আহ্বান বিএনপির