শুক্রবার গাজীপুরের ছয়দানায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আল-আমিন ব্রাদার্সের ‘ফাইভ স্টার ব্র্যান্ডের’ মোবাইল কারখানা উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস পণ্যের বিদ্যমান বাজারে শতকরা সত্তর ভাগ দেশীয় কোম্পানির আয়ত্তে এবং পণ্যগুলো বাংলাদেশ থেকেই উৎপাদিত। এই অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ফসল।
তিনি বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, শিক্ষিত বেকারত্ব। দেশীয় এসব কোম্পানিসমূহে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরা দক্ষতার সাথে কাজ করছে। গুণগত মানের দেশীয় কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল কারখানা কর্মসংস্থানের পাশাপাশি, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। সর্বোপরি মেড ইন বাংলাদেশ মোবাইল আমাদের জাতীয় গৌরবের বিষয়।
দেশে ডিজিটাল ডিভাইস আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ২০১৫ ডিজিটাল টাস্কফোর্স বৈঠকে তার দেয়া প্রস্তাবের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি এবং রপ্তানি করতে দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের ডিজিটাল বান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশ সৌদি আরবে আইওটি পণ্য রপ্তানি করছে। নেপাল ও নাইজেরিয়ায় কম্পিউটার ও ল্যাপটপ রপ্তানি করছে।
মন্ত্রী পণ্যে গুণগত মান বজায় রেখে ডিভাইস উৎপাদনে কঠোর নজর দিতে উদ্যোক্তাদের মনোযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসি কোন ছাড় দিবে না। যেনতেন পণ্য নয়, গুণগত মানের পণ্যই হবে মেড ইন বাংলাদেশের পণ্য।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশ ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে পৃথিবীব্যাপী নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪২তম অর্থনৈতিক শক্তি। ২০৩০ সালে বিশ্বে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ২৬তম। বিশ্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বিস্ময়।
অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি মেয়র মো: জাহাঙ্গীর আলম, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো: জহিরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব মনিরুল হক, বিটিআরসি কমিশনার আমিনুল হাসান এবং ফাইভ স্টার কোম্পানির চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী কারখানার বিভিন্ন উৎপাদন প্যানেল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত কর্মীদের নিকট তাদের কাজের অভিজ্ঞতার কথা শোনেন।
এর আগে দেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন কারখানা করে ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফোনি এবং আইটেল।