তিনি বলেন, ‘শিল্প নগরীতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উদ্যোক্তারা কারখানা স্থাপন করতে ব্যর্থ হলে প্লট বরাদ্দ বাতিল করে সেটি অবশ্যই অন্য উদ্যোক্তাকে প্রদান করতে হবে।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন শীর্ষক অনলাইন কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রূপকল্প ২০৪১' এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের লক্ষ্যসমূহ অর্জনে পরিবেশবান্ধব শিল্পখাতের বিকাশে বিসিককে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। শিল্পনগরীগুলোর খালি প্লটে নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে জেলা পর্যায়ে মোটিভেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় স্থানীয় কাঁচামালভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিষয়ে বিসিককে আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন এবং নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য শিল্প নগরীসমূহে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি প্রদান ও প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করার তাগাদা প্রদান করেন।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘শিল্প নগরীতে স্থাপিত কারখানাসমূহের উদ্যোক্তাগণসহ নতুন উদ্যোক্তারা যাতে কোনোভাবে অযথা হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে বিসিকের শিল্পনগরীর কর্মকর্তাদের সচেতন থাকতে হবে।’
‘উদ্যোক্তাদের সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করতে হবে। প্রতিটি শিল্প নগরী যাতে পরিবেশবান্ধব হয় সে বিষয়ে বিসিকের তদারকি আরও জোরদার করা প্রয়োজন,’ বলেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিসিকের চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান বলেন, সময়, ব্যয় ও পরিদর্শন কমিয়ে সহজেই উদ্যোক্তাদের কিভাবে সেবা পৌঁছে দেয়া যায় সেই লক্ষ্যেই এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
বিসিক জেলা, আঞ্চলিক ও প্রধান কার্যালয়ের ৮৪ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
বিসিকের পরিচালক (শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) মো. খলিলুর রহমান, পরিচালক (অর্থ) স্বপন কুমার ঘোষ ও উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।