ঢাকা, ০৬ জুলাই (ইউএনবি)- সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের কর্মচারীদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য প্রতি বছর জানানোর নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর করফাঁকি কমানো এবং আয়করদাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়।
সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে আয়কর অধ্যাদেশে একটি নতুন ধারা অন্তর্ভুক্ত করেছে।
১০৮ (ক) ধারাতে এটি বলেছে, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে সকল নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের কর্মচারীদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসে কর সংগ্রহের বিবরণী এবং বিবৃতি জমা দিচ্ছে।
নতুন ধারা অনুযায়ী, কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি থেকে কত পরিমাণ কর (পে-রোল ট্যাক্স) কাটা হয় বিবৃতিতে সেসব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং প্রতিবছর একবার সেটি জমা দিতে হবে।
এনবিআর এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আয়করের তিন শতাংশ, যা সরাসরি কর হিসেবে পরিচিত, তা পে-রোল ট্যাক্স থেকে আসে। একটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তার কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি থেকে প্রতি মাসে উৎসে কর কেটে নেয়। পরে এই সংগৃহীত অর্থ এনবিআর জমা দেয়া হয়।
ঊর্ধ্বতন এক এনবিআর কর্মকর্তা জানান, এই পদক্ষেপ সামনের দিনগুলোতে আরো করদাতাদের খুঁজে বের করতে এবং যেকোন প্রতিষ্ঠানের করফাঁকি শনাক্ত করতে রাজস্ব সংগ্রহ কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করবে।
‘এই পদক্ষেপ, যাকে অভ্যন্তরীণ জরিপ বলা হয়, যে কোন ধরনের করফাঁকি শনাক্ত করতে এবং ট্যাক্স নেটের অধীনে আরো করদাতাদের আনতে সক্ষম হবে’, বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, বর্তমানে দেশে ই-টিনধারীদের সংখ্যা ৩৫ লাখের বেশি। সরকার আগামী পাঁচ বছরে এই সংখ্যা এক কোটিতে নিয়ে যেতে চায়।
এ বিষয়ে সম্প্রতি এনবিআর সদস্য (কর জরিপ ও পরিদর্শন) ড. মাহবুবুর রহমান মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে চিঠি পাঠায় এবং নতুন ধারা অনুযায়ী যথাযথ কাজ করার নির্দেশ দেয়।
এদিকে, এনবিআর ট্যাক্স নেটের আওতায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই ৫,৩৪,৯১১ জন নতুন করদাতাকে আনা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫,২৬,০০০ জন।
বর্তমানের দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের বেশি। প্রতিবেশি দেশগুলোতে যা ১৫ শতাংশের বেশি।