হিলি বন্দরের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা জানান, চার দিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে কোনো পেঁয়াজ না আসায় মঙ্গলবার থেকে কেজিতে অন্তত ২০-২৫ টাকা করে বেড়েছে। ফলে আজ বুধবার বন্দরের মোকামে এসব পেঁয়াজ মানভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। যা কিনা গত সোমবার পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়।’
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান, গত শনিবার ভারতীয় ১১টি ট্রাকে ২৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে। যার অধিকাংশই পেঁয়াজ ভ্যাপসা গরমে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বাছাই করে কিছু ভালো পেঁয়াজ বের করা হয়েছে। সেগুলো ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দাম স্বাভাবিকই আছে বলে তিনি দাবি করেন।
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ১৯ সেপ্টেম্বরের পর ভারত থেকে এ পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজ বোঝাই ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেনি।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা অভিযোগ করেন, বন্দরের মোকামের কয়েকজন ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছেন। তারা বেশি দামের আসায় বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ছেন না। আমরা কিনতে গেলে বলা হচ্ছে পেঁয়াজ নাই। আবার দাম বেশি দিলে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে।
তারা আরও বলছেন, তারা যদি এভাবে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হন, তাহলে তারা খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে বেশি দাম নিতে বাধ্য হবেন। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার কারসাজি করছেন বলে অভিযোগ তাদের।