সোমবার ৫৮ মেট্রিক টন মিয়ানমারের পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র।
হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়।
পেঁয়াজের চালান খালাসে নিয়োজিত একজন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রথমে দুই কনটেইনার পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। আগ্রাবাদের কায়েল স্টোর এ পেঁয়াজ আমদানি করে। এরপর আরও চার কনটেইনার পেঁয়াজ আসে পাকিস্তান থেকে। মঙ্গলবার কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে এ চার কনটেইনার পেঁয়াজের এক্সামিন সম্পন্ন হয়েছে। আশাকরি আজকের মধ্যেই বন্দর থেকে খালাস নিতে পারব।
সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, চট্টগ্রামের আমদানিকারক কায়েল স্টোর মিয়ানমার থেকে ৫৮ টন পেঁয়াজ এনেছে। আমরা এ চালানের অনুকূলে ছাড়পত্র ইস্যু করেছি। আশাকরি, পাইপ লাইনে থাকা অন্যান্য আমদানিকারকের পেঁয়াজও দ্রুত দেশে ঢুকবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজের সংকট মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কাস্টম হাউসের অভ্যন্তরীণ ‘গ্রুপ-১’ শাখায় পেঁয়াজের চালান খালাসের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। পেঁয়াজ সংকট শুরুর পর ভারতের বিকল্প দেশের মধ্যে সাগর পথে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রথম ঢুকেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ। সোমবার রাতে দুই কনটেইনার পেঁয়াজ ঢুকেছে বিভিন্ন আড়তে। এ পেঁয়াজের আকার, রং ও স্বাদ দেশি পেঁয়াজের মতো হওয়ায় দামও ভালো পেয়েছেন আমদানিকারক। খাতুনগঞ্জের আড়তে প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়।