রবিবার নগরীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সমুদ্রে আমাদের বিশাল সম্পদ রয়েছে, কিন্তু অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পর্যাপ্ত গবেষণা না থাকায় সমুদ্র অর্থনীতিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্র অর্থনীতি খাতে উদ্ভাবন, গবেষণা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি প্রয়োজন। সরকারকেও একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করছি, সমুদ্র অর্থনীতি ক্ষেত্রে ‘যুগান্তকারী’ সাফল্য পাবে বাংলাদেশ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র অর্থনীতি আমাদের জন্য নতুন একটি খাত। তাই খাত থেকে সুবিধা পেতে আমাদের আরও সময় লাগবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আসন্ন নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যবেক্ষকরা আসছেন এবং এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন।
এর আগে সেমিনারে 'ব্লু ইকোনমি এবং ইইউ হরিজন ২০২০' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূত রেঞ্জসে তেরিঙ্ক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে একটি প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন।
ইইউ দূত তেরিঙ্ক বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশের বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।