তিনি বলেন, ‘এর ফলে এসএমই উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন এবং অর্থনীতিতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’
এসএমই উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত দেশীয় পণ্য ব্যবহারে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনলাইন সোস্যাল ক্যাম্পেইন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক ঋণের শর্তগুলো শিথিল করে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনার ঋণ বিতরণ গতিশীল করতে হবে। গ্রাম পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্যের মার্কেটিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হচ্ছে।’
ছোট উদ্যোক্তারাই অর্থনীতিতে সফলতা নিয়ে আসবেন এমন আশা প্রকাশ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ও বিদেশে দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের সমন্বিত উদ্যোগের ফলে করোনা পরিস্থিতির মাঝেও শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রয়েছে।’
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি আয়ত্ব করার পাশাপাশি দেশি ও আন্তর্জাতিক ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের গুণগত মান উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শিল্পমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি দেশীয় পণ্য আরও বেশি হারে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশি বেশি দেশীয় পণ্য ব্যবহার করে দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে।’
ঐতিহ্যবাহী মসলিন শাড়ির প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উঁচুমানের রুচিসম্পন্ন পণ্য তৈরির মানসিকতা ও শৈল্পিক সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’
এ সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে বিশ্ব মানের পণ্য উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বিদেশে দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, দেশীয় পণ্য ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এসএমই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন ও সামাজিক মিডিয়ায় প্রচারের জন্য ২৫টি স্লোগান তৈরি করেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি এবং ইমেইলে এসব স্লোগান পাঠিয়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রম গ্রহণ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।