তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানিয়েছে এক কোটি চামড়ার মধ্যে এবার দশমিক পাঁচ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়েছে। এবার যেহেতু গরম পড়েছে সেজন্যই ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হতে পারে।’
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চামড়া শিল্প যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন চামড়া শিল্পকে গতিরোধ করার জন্য একটি চক্র কাজ করছে। ‘কিন্তু আমাদের আজকের মিটিং সফল হয়েছে। কেননা আমরা বিদ্যমান সংকট সমাধানে সক্ষম হয়েছি।’
উল্লেখ্য, শনিবার বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নেয় যে, পাওনা টাকা না দেয়া পর্যন্ত আড়তদাররা কোনো কাঁচা চামড়া ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করবে না। তবে রবিবার বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা।
আড়তদারদের পাওনা টাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এর আগে তারা কখনো এমন অভিযোগ পাননি। ‘আড়তদারদের পাওনা টাকা দেয়ার জন্য এফবিসিসিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে আগামী ২২ তারিখ ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের সাথে এফবিসিসিআইয়ের বৈঠক হবে।
মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখানে কাজ করেছে বলে জেলা থেকে যারা এসেছেন তারা জানিয়েছে। ‘এগুলো আমরা গুরুত্ব দেই না। আমরা এ বিষয়ে সচেতন। এখন চামড়া পুড়িয়ে ছবি দিলে আমাদের কিছু করার নেই।’
চট্টগ্রামে ৩০ ট্রাক কাঁচা চামড়া ডাম্পিং করা হয়েছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নুরুল মজিদ বলেন, এর সাথে বিএনপি যুক্ত থাকতে পারে।
কাঁচা চামড়া রপ্তানির বিষয়ে তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
মজিদ আরও বলেন, সরকার চামড়া শিল্পের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, তারা আড়তদার এবং ট্যানারি মালিকদের মধ্যে যে সমস্যা তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী।