গুণগত মানের স্মার্টফোন সাধারণ ভোক্তাদের নাগালে আনতে ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু হয় সিম্ফনির। প্রথমে আমদানিনির্ভর হলেও পরে স্থানীয়ভাবেই স্মার্টফোন তৈরির জন্য ২০১৮ সালে আশুলিয়ার জিরাবোতে মোবাইল কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছরের ডিসেম্বর থেকেই সিম্ফনি ‘মেড বাই বাংলাদেশ’ ফোন বাজারজাত করা শুরু হয়।
সম্প্রতি আশুলিয়াতে সিম্ফনির মোবাইল কারখানা পরিদর্শন করেন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যরা।
সিম্ফনি ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বাধিক বিক্রিত ব্র্যান্ড হিসেবে তার নেতৃত্ব ধরে রেখেছে। পাশাপাশি ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম কর্তৃক মোবাইল ফোন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ডের খেতাব অর্জন করে।
এডিসন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জাকারিয়া শাহিদ বলেন, ‘দেশের চাহিদা পূরণ করে আমরা ২০২২ সালের মধ্যে সিম্ফনি স্মার্টফোন বিদেশে রপ্তানি করব।’
ছবি: সৌজন্য
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতের সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোতে সিম্ফনি মোবাইলের বিপুল পরিমাণ সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের মাধ্যমে সিম্ফনি এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামে তাদের বাজার প্রসারিত করেছে।
কারখানা পরিদর্শনকালে এডিসন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউএনবিকে জানান, প্রতি মাসে বাজারে এক লাখ থেকে সোয়া এক লাখ সিম্ফনি স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে। যার পুরোটাই সিম্ফনি স্থানীয়ভাবে যোগান দিচ্ছে।
জিরাবোতে প্রায় ৫৭ হাজার বর্গফুট জমির ওপর তৈরি করা সিম্ফনি মোবাইলের এ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্টে এক হাজার লোক কাজ করেন।
এছাড়া, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে প্রায় ৮.১৬ একর এবং আশুলিয়াতে এক লাখ ৭২ হাজার স্কয়ার ফিট জমির ওপরে আরও দুটি কারখানা তৈরি করছে সিম্ফনি।
ছবি: ইউএনবি
শাহিদ জানান, এ তিনটি কারখানায় এখন পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সিম্ফনি। উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ার সাথে সাথে এর পরিমাণ ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
দেশে হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সাধারন সম্পাদক শাহিদ বলেন, বাংলাদশে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রায় তিন থেকে সাড়ে ৩ কোটি ইউনিট মোবাইল ফোনের বাজার রয়েছে।