বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে গত ১৫ বছরে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'শুধু গত দুই মাসের সংগ্রামে মানুষ শহীদ হয়নি, গত ১৫ বছরে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন। আর এই ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজের জীবন ও কর্ম শীর্ষক স্মরণসভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ঢাকা ফোরাম (টিডিএফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।
মরহুম সিরাজুল ইসলাম সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, বুদ্ধিমান, স্পষ্টভাষী এবং খাঁটি দেশপ্রেমিক। ‘তার মৃত্যুতে আমরা একজন বন্ধুকে হারিয়েছি এবং দেশ একজন দেশপ্রেমিক কূটনীতিককে হারিয়েছে।’
শেখ হাসিনার শাসনামলের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তার অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের যখন কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তখন বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। ‘সে সময় সবুজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিএনপিকে সহযোগিতার আশ্বাস সুইজারল্যান্ডের
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলে সবুজ দেশের বিভিন্ন কর্তব্যে নিয়োজিত হবেন বলে তারা খুবই আশাবাদী ছিলেন।
সবুজকে শহীদ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই কূটনীতিক সব সময় তার কণ্ঠ ও কলমের মাধ্যমে এই সংগ্রামে অবদান রেখেছেন।
ফখরুল আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তিনি যেন তাকে বেহেশত দান করেন এবং তার পরিবার তাকে হারানোর ব্যথা সহ্য করার মতো ধৈর্যশক্তি কামনা করেন।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জহির উদ্দিন স্বপন, শামা ওবায়েদ, সাবেক কূটনীতিক ইফতেখার করিম, শাহেদ আখতার, রাষ্ট্রদূত সবুজের স্ত্রী নাজরিন ফৌজিয়া, তার দুই মেয়ে মৌসুমী ইসলাম সাবরিনা ও নওরিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ আগস্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজ যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ১৮ আগস্ট রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা