স্মরণ
'দ্বিতীয় স্বাধীনতায়' শহীদদের অবদানের কথা স্মরণ করলেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে গত ১৫ বছরে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'শুধু গত দুই মাসের সংগ্রামে মানুষ শহীদ হয়নি, গত ১৫ বছরে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন। আর এই ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজের জীবন ও কর্ম শীর্ষক স্মরণসভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ঢাকা ফোরাম (টিডিএফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।
মরহুম সিরাজুল ইসলাম সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, বুদ্ধিমান, স্পষ্টভাষী এবং খাঁটি দেশপ্রেমিক। ‘তার মৃত্যুতে আমরা একজন বন্ধুকে হারিয়েছি এবং দেশ একজন দেশপ্রেমিক কূটনীতিককে হারিয়েছে।’
শেখ হাসিনার শাসনামলের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তার অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের যখন কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তখন বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। ‘সে সময় সবুজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিএনপিকে সহযোগিতার আশ্বাস সুইজারল্যান্ডের
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলে সবুজ দেশের বিভিন্ন কর্তব্যে নিয়োজিত হবেন বলে তারা খুবই আশাবাদী ছিলেন।
সবুজকে শহীদ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই কূটনীতিক সব সময় তার কণ্ঠ ও কলমের মাধ্যমে এই সংগ্রামে অবদান রেখেছেন।
ফখরুল আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তিনি যেন তাকে বেহেশত দান করেন এবং তার পরিবার তাকে হারানোর ব্যথা সহ্য করার মতো ধৈর্যশক্তি কামনা করেন।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জহির উদ্দিন স্বপন, শামা ওবায়েদ, সাবেক কূটনীতিক ইফতেখার করিম, শাহেদ আখতার, রাষ্ট্রদূত সবুজের স্ত্রী নাজরিন ফৌজিয়া, তার দুই মেয়ে মৌসুমী ইসলাম সাবরিনা ও নওরিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ আগস্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজ যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ১৮ আগস্ট রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
২ মাস আগে
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শোক পালন করছে বাংলাদেশ
সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে বাংলাদেশ শনিবার (২১ অক্টোবর) শোক পালন করছে।
সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহ দিনটিতে শোক পালনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি এবং গাজায় ৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া বাংলাদেশে
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
১ বছর আগে
জন্মদিনে শেখ রাসেলকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার ছোট ভাই রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নৃশংসভাবে নিহত হন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর এবং ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
২০২১ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বনানী কবরস্থানে যান এবং রাসেলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার শেখ রাসেল দিবস পালিত হবে
শেখ হাসিনা ও রেহানা ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় লেখক, প্রখ্যাত দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে বঙ্গবন্ধু নিজে এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব তার নামকরণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি সংস্থা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশ-বিদেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: রংপুরের শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল পাস
ক্যানবেরায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নূরে আলম সিদ্দিকীর অবদান পরবর্তী প্রজন্ম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সাংসদ নূরে আলম সিদ্দিকী-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, নূরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন এবং ‘৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন
অভিনেতা খালেকুজ্জামান মারা গেছেন
১ বছর আগে
‘জীবজগতের অসাধারণ বৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদেরকে দায়িত্বের কথা স্মরণ করতে হবে’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস আজ (শুক্রবার)। এই গ্রহে জীবজগতের অসাধারণ বৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদেরকে দায়িত্বের কথা স্মরণ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের শোচনীয় ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘মানুষের কার্যকলাপের কারণে বন-জঙ্গল, আবাদি জমি, সাগর-মহাসাগর, নদী-খাল নষ্ট হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে। বাসস্থান ধ্বংস, জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ১০ লাখ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে এই সংঘাত আমাদের অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
আনন্দের সংবাদ হিসেবে তিনি বলেন, সংকট নিরসনে আমাদের উপকরণ, জ্ঞান ও সমাধান রয়েছে। এ বছর বিপন্ন প্রজাতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সনদের ৫০তম বার্ষিকী। এই সনদ হাজারও প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণে সহায়ক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে গত বছরের কুনমিং-মন্ট্রিল বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য ফ্রেমওয়ার্কের বিষয়ে ঐকমত্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই চুক্তি আমাদের গ্রহটার ক্ষত সারাতে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে ইউএনডিপি’র ‘ক্লিক ফর ওয়াইল্ডলাইফ’ প্রচারাভিযান
এ বছর বন্যপ্রাণী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অংশীদারিত্ব’। এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে পরিণত করতে সরকার, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি খাতকে একযোগে কাজ করার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে এবং জলবায়ু সহনশীল হয়ে উঠতে আমাদের এখনই আরও বড় ধরনের পদক্ষেপের প্রয়োজন। সর্বত্রই স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও নৃগোষ্ঠীকে কাজের সম্মুখভাগ ও কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে। কারণ তারাই আমাদের এই বিশ্বের জীববৈচিত্র্যের সবচেয়ে কার্যকর অভিভাবক।’
তিনি আরও বলেন, আজ ও প্রতিটা দিন- আসুন আমরা প্রাকৃতিক বাসস্থান সংরক্ষণে এবং সমগ্র জীবের জন্য সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যত গঠনে নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের পুরো দায়িত্বটা পালন করি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেন আন্তোনিও গুতেরেস
১ বছর আগে
জন্মদিনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের পরে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলেও গণ্য করা হয় তাকে।
তিনি ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্র নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। আজ ১৩ নভেম্বর বহুগুণে গুণান্বিত এই লেখকের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী।
হুমায়ূন আহমেদ তার বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনী এবং নন-ফিকশন লেখার জন্যই বেশি জনপ্রিয়। প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে (১৯৭২) দিয়ে তার সাফল্য অর্জন শুরু হয়। এরপর একে একে ২০০ টিরও বেশি কথাসাহিত্য এবং নন-ফিকশন লিখেছেন তিনি। তার লেখা সবগুলো উপন্যাসই বাংলাদেশে বেস্টসেলার।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি)তার প্রথম নাটক ‘প্রথম প্রহর’(১৯৮৩) দিয়ে আত্মপ্রকাশ। এরপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার পরিচালিত সবগুলো ধারাবাহিক নাটকই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে, ‘এই সব দিন রাত্রি’, 'বহুব্রীহি', 'অয়োময়', 'নক্ষত্রের রাত', 'আজ রবিবার' এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য 'কোথাও কেউ নেই'।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ
১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন হুমায়ুন আহমেদ। মোট আটটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি, প্রতিটিই তার নিজের লেখা উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। তার নির্মিত চলচ্চিত্র ‘শ্যামল ছায়া' (২০০৪)ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা'(২০১২) চলচ্চিত্র দু’টি শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র হিসাবে আকাদেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
তিনি ‘শঙ্খনীল কারাগার'(চিত্রনাট্যকার হিসেবে),'আগুনের পরশমনি’,'দারুচিনি দ্বীপ' এবং 'ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রের জন্য বিভিন্ন বিভাগে সাতবার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
প্রখ্যাত এই লেখকের অনুরাগী দল ‘হিমু পরিবহন’ বহু বছর ধরে তার জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। প্রতিবছর এইদিনে তারা একটি বিশেষ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এর সদস্যরা এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খালি পায়ে হেঁটে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে হুমায়ুনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে হুমায়ূন আহমেদের পরিচালিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং সন্ধ্যায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এই দলের সদস্যরা।
দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং রেডিও স্টেশনগুলিও হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জীবনাবসান
এদিকে, শুক্রবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ প্রদান করা হয়।
প্রখ্যাত বাংলাদেশি লেখিকা সেলিনা হোসেন বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের জন্য পুরস্কার জিতেছেন। আর লেখিকা ফাতেমা আবেদিন নাজলা তরুণ সাহিত্যিক বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন, যা ৪০ বছরের কম বয়সী লেখকদের দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অন্যদিন পত্রিকার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন। অনুষ্ঠানে দুটি গান গেয়ে প্রয়াত স্বামীকে স্মরণ করেন শাওন।
২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ১২ নভেম্বর নন্দিত এই কথা সাহিত্যিকের জন্মবার্ষিকীর আগের দিন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: বইমেলায় দুই উপন্যাস নিয়ে আসছেন কথাসাহিত্যিক জুয়েল
২ বছর আগে
ক্যানবেরায় বাঙালি জাতির মুক্তির নায়ককে স্মরণ
ক্যানবেরায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার করোনা মোকাবিলায় ক্যানবেরায় ঘোষিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে স্মরণসভাটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
দূতাবাসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনারসহ সেদেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচকরা জাতির পিতার নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। তারা তার প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস
আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি শোকাহতচিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে কিছু আর্দশগত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও সক্ষম রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমাজ এবং জাতীয় পর্যায়ে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব বিধায়, এ লক্ষ্যে হাইকমিশনার সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
৩ বছর আগে