অভিযুক্ত মো. ইউনুস মোল্লা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ১নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম পরিবারসহ তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস মোল্লা রাজনৈতিকভাবে হেয় করার পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে ভোলায় সড়ক অবরোধ
সংবাদ সম্মেলনে মো. নুর আলম অভিযোগ করেন, তার বাড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কুমড়াকান্দি গ্রামে। বাড়ির সাথে রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য বাড়ির যাতায়াতের পথ বন্ধ করে কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। যাতায়াতের সমস্যার কারণে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ কর্তৃপক্ষের কাছে ৬ ফুট জায়গা খালি রেখে কাজ করার অনুরোধ করি। সোমবার বিকালে যাতায়াতের সমস্যা নিয়ে নির্মাণ কাজে উপস্থিত ঠিকাদার আজাদ আবুল কালাম ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউনুস মোল্লার কাছে কৈফিয়ত চান। এ নিয়ে উভয়ের বাকবিতণ্ডাকালে নুর আলমের স্ত্রী এগিয়ে আসে। ‘এক পর্যায়ে ইউনুস মোল্লা উত্তেজিত হয়ে আমার স্ত্রী রেহেনা আক্তার রানীর বাম পায়ে ইট দিয়ে থেতলে দেন এবং পিঠেও আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল হওয়ার আশঙ্কা আ’লীগের
নুর আলম বলেন, এঘটনার বিচারের দাবিতে আমি দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককেও জানিয়েছি এবং সোমবার রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ইউনুস মোল্লা ও ঠিকাদার আজাদ আবুল কালামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।
ইউনুস মোল্লা বলেন, সরকারি বরাদ্দকৃত স্কুলের ভবন নির্মাণের শুরু থেকেই নূর আলম প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন। সোমবার বিকালে নুর আলম বিদ্যালয়ের ভবনের কাজ বন্ধ করে দিলে ঠিকাদারের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কাজ বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে নুর আলম ও তার স্ত্রী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে তার স্ত্রী হোচোট খেয়ে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করতে তার স্ত্রীকে নির্যাতনের মতো জঘন্য মিথা অভিযোগ করছেন। এছাড়া তার সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। এ ধরনের অভিযোগের বিচারের দাবি করছি।
আরও পড়ুন: পঞ্চম দফা পৌর নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক শনিবার
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ‘সোমবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। যেহেতু উভয় ব্যক্তি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’