আওয়ামী লীগ নেতা
বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়া কারাগারে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মতিন মিঠু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউতে মারা যান তিনি।
মিঠু গাবতলীর বৈইঠা দক্ষিণ পাড়ার মোজাহার আলীর ছেলে। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪
বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বলেন, রবিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। পরে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি মারা যান।
১ সপ্তাহ আগে
যশোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরের চৌগাছায় সিংহঝুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনিছুর রহমানকে (৫৬) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্বজনদের ধারণা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আনিছুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। এর আগে ২০০২ সালে তার বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশাও খুন হয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনিছুর রহমান জগন্নাথপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের দোকান থেকে চা পান করে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় উত্তরপাড়ায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে আনিছুরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের অর্থো-সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, নিহত আনিছুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। হাত-পায়ের বিভিন্ন স্থানের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
নিহতের ভাই শাহনুর আলম উজ্জল জানান, আনিছুরের হত্যাকারীরা ২০০২ সালে তার বড় ভাই চৌগাছার সিংহঝুলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেনকেও হত্যা করেছিল।
চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার মেহেদী হাসান জানান, আনিছুর রহমান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১ মাস আগে
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা শামীম গ্রেপ্তার
সিলেটের বিশ্বনাথে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামীম আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট নগরের টিলাগড় পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে রাত ১১টায় বিশ্বনাথ থানার মামলায় করে তাকে হস্তান্তর করে র্যাব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দলীয় সরকার পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও পৌরসভার জানাইয়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে শামীম আহমদ।
বিশ্বনাথ পৌরসভার সাবেক মেয়র মুহিবুর রহমানের বাসার সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় তার গাড়িচালকের দেওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি।
সরকার পরিবর্তনের আগে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর দ্বন্দ্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শামীম। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সিলেট নগরের টিলাগড় পয়েন্টের সামনে অবস্থান করছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল মিয়া বলেন, ‘মামলার পলাতক আসামি শামীম আহমদকে র্যাব-৯ গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
২ মাস আগে
শ্রীনগরে পুকুর থেকে আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পুকুর থেকে শাহজাহান শেখ (৬০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বীরতারা ইউনিয়নের কাঠালবাড়ির রাস্তার পাশের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ২ দিন পর ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার
শাহজাহান বীরতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী শিমা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার শাহজাহান বাজারে চা পান করতে গেলে আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে বাড়ি থেকে প্রায় একশ গজ দূরে রাস্তার পাশের ডোবায় তার লাশ পাওয়া যায়। কারো বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। এছাড়া তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দল মত ভেদে সবার সঙ্গেই তার ভালো সম্পর্ক ছিল।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিন মুন্সী বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
বরিশালে সয়াবিন খেত থেকে আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
বরিশালের হিজলায় সয়াবিন খেত থেকে জামাল মাঝি নামে এক আওয়ামী লীগের এক নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
নিহত জামাল মাঝি বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) পংকজ দেবনাথের অনুসারী।
তিনি উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলে জানিয়েছেন পংকজ দেবনাথ।
নিহতের স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, রাতে ২টার দিকে স্বামীকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানান, ভালো আছেন ও নিরাপদে আছেন। পরে সকাল ৯টার দিকে জানতে পারি স্বামীর লাশ সয়াবিন খেতে পড়ে আছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় লাশ পেয়েছি। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না। তদন্ত করে বলতে পারব কারা জড়িত।
আরও পড়ুন: নাটোরে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
যশোরে ৫ কেজি স্বর্ণ ও পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
৯ মাস আগে
আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রবিবার রাতে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাজেদা চৌধুরী রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সংসদের উপনেতা দুই সপ্তাহ আগে করোনা আক্রান্তে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয়বার সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
সাজেদার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হওয়ায় সাজেদা চৌধুরীকে অভিনন্দন
এছাড়াও, ২০১৫ সালে সাজেদা চৌধুরীর বাইপাস সার্জারি হয়।
১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করা সাজেদা চৌধুরী ২০১৯ সাল থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে সংসদের উপনেতা হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-২: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মনোনয়ন চেয়ে বিক্ষোভ, অবরোধ
৮৭ বছর বয়সী তিনি পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
২ বছর আগে
২৯ বছর পর আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
যশোরে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুর রহমান হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার এ রায় দিয়েছেন স্পেশাল দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শামছুল হক।
জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ এই নেতার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বেনাপোলের গাতিপাড়া গ্রামের ফজলে করিম ক্যানলার ছেলে রাইটার, রবিউল ইসলামের ছেলে মশিয়ার রহমান, দৌলতপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে আজগর আলী, ভারতের ২৪ পরগানা জেলার বনগ্রাম থানার ভরতপুর গ্রামের কারজেল মন্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তার মন্ডল, জিয়ালা গ্রামের কালিপদ সরকারের ছেলে সাধন সরকার, বাগদাহ থানার আমডোব গ্রামের মৃত আনু বিশ্বাসের ছেলে ইয়াকুব আলী।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ৫ মে মাগরিবের নামাজ পড়ে শামসুর রহমান বাড়িতে বসে লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে আসামিরা শামসুর রহমানকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জারিমানার আদেশ দিয়েছেন। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি টিটু মিয়াকে খালাস দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত রাইটার ছাড়া সকল আসামি পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
ফরিদপুরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রাতের আঁধারে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সালথার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছাচ্ছে মাছ
এ ঘটনায় শনিবার সকালে উপজেলার কালিনগর গ্রামের বাসিন্দা এমদাদুল হক মিলনসহ ৯ জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কালিনগর বাজারের কুমার নদীর পাড়ে সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০ শতাংশ জমি মো. মিজানুর রহমান ও তার সহযোগিরা রাতের আঁধারে চারপাশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে। দখলকৃত জমির আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা।
অভিযুক্ত রূপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'এই জমির সামনে আমার জমি। পিছনের জমি গর্ত ছিল, নদী কাটার সময় আমি টাকা পয়সা খরচ করে ভরাট করেছি। তাছাড়া জমিটা আমার দখলে রয়েছে এবং জমিটার লিজ নেয়াসহ ডিসিআরও রয়েছে আমার।'
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে 'ফাতেমা’ ধান চাষে যুবকের স্বপ্ন পূরণ
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, 'সরকারি জমি দখলের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে রূপাপাত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে গিয়ে জায়গা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।'
৩ বছর আগে
ইতালি প্রবাসীকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার নামে মামলা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইতালি প্রবাসী মাসুদ রানাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় হত্যা মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আইসিইউতে চিকিৎসক ও যন্ত্রাংশের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত
এ মামলায় ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এমদাদুল হক বাচ্চু সহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক পলাতক রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) আবুল কালাম আজাদ জানান, সাবেক কাউন্সিলর এমদাদুল হক বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গজারিয়া গ্রামের জয়নাল শেখকে (৩৫) বুধবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হকের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর সদরের নওপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মাসুদের কবর জিয়ারত করতে আসেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
মাসুদের কবর জিয়ারত শেষে নিক্সন চৌধুরী বলেন, যারাই নির্মমভাবে ইতালি প্রবাসী মাসুদকে মেরেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। হত্যাকারী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, সরকার এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে কোন আপোষ করবে না।
পরে নিহত মাসুদের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন সাংসদ। এসময় শত শত গ্রামবাসী এমপি নিক্সন চৌধুরীর কাছে মাসুদকে হত্যাকারী সাবেক পৌর কাউন্সিলর বাচ্চু মেম্বার ও তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল দিতে থাকে।
সেসময় এমপি নিক্সন চৌধুরী সকলের উদ্দেশে আরও বলেন, 'আপনারা আইন হাতে তুলে নিবেন না। একটি হত্যাকাণ্ডের পর ঐ এলাকায় সুযোগ সন্ধানী অনেকেই নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। আপনারা শান্ত থাকুন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সর্বদা আপনাদের পাশে আমি থাকব। নিহত মাসুদের দুটি সন্তান ও স্ত্রী ইতালিতে অবস্থান করছে। আপনারা সবাই এই পরিবারটির জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করবেন।'
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
কবর জিয়ারতের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম হাবিবুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন, সরকারি কেএম কলেজের সাবেক জিএস লাবলূ মুন্সি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ্জাক ফকির প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার নওপাড়া বাসস্ট্যান্ডে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ইতালী প্রবাসী মাসুদ রানা ভাঙ্গা পৌরসভার গজারিয়া মহল্লার হারুন অর রশিদের ছেলে।
পৌরসভা নির্বাচনে মাসুদ রানা ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও ভাঙ্গা সহকারী জজ আদালত আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক মিঠুনের পক্ষে কাজ করছিলেন। এতে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী এমদাদুল হক বাচ্চুসহ তার লোকজন প্রবাসী মাসুদ রানার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুদ রানা দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সপরিবার ইতালিতে বসবাস করেন। ভাঙ্গা পৌর নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় তিন মাস আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। ১১ এপ্রিল এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনার কারণে এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ২০ এপ্রিল ইতালি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল মাসুদ রানার।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, ভাঙ্গা পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন গজারিয়া গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর এক পক্ষকে নেতৃত্ব দেন ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এমদাদুল হক বাচ্চু এবং অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাজ্জাক ফকির। দুই পক্ষের বিরোধের কারণে গত বছর বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জখম, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মাসুদ রানা ভাঙ্গা পৌরসভার নওপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নান্নু শেখের চায়ের দোকানে বেঞ্চে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ২০-২৫ জন লোক এসে তাঁকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মাসুদ রানা দৌড়ে পাশে আনোয়ার মাতুব্বরের মুদি দোকানে প্রবেশ করলে হামলাকারীরা ওই দোকানের ভেতরে গিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেন তাকে। পরে এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, মাসুদ রানার মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর গজারিয়া গ্রামে পাঁচ-ছয়টি বাড়িতে হামলা করে ১৪টি গবাদিপশু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে গজারিয়া গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
৩ বছর আগে
আ’লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শাহজাহানের মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ও দপ্তর উপ-কমিটির সাবেক সদস্য মো. শাহজাহানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, মো, শাহজাহান সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এদিকে শাহজাহানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
৩ বছর আগে