গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে জানান, ‘স্যারের আজ (সোমবার) আরটি-পিসিআর কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছেন এবং এতে করোনা নেগেটিভ এসেছে।’
এর আগে শনিবার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে জাফরুল্লাহ করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং তাতেও একই ফলাফল এসেছিল।
ফরহাদ বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে এবং কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই তিনি আগের চেয়ে ভাল বোধ করছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘ডাক্তাররা বলেছেন তিনি (জাফরুল্লাহ) এখন করোনার সংক্রমণ থেকে নিরাপদ, তবে তিনি এখনও নিউমোনিয় সমস্যায় ভুগছেন।’
রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডা. জাফরুল্লাহ।
ফরহাদ জানান, জাফরুল্লাহর স্ত্রী শিরিন হক এবং ছেলে বরিশ হাসান চৌধুরী করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও তারা ভাল আছেন এবং বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ ২৫ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিট দিয়ে পরীক্ষা করে আক্রান্তের ব্যাপারে জেনেছেন।
তার চারদিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনভাইরাস শনাক্ত হয়।
এরআগে, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহ তার রোগ প্রতিরোধের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তিনবার প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন।