বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য থাকলেও, তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য এ দিন ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবুল হক।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল 'সংসদ সদস্য' স্টিকার লাগানো হাজি সেলিমের গাড়ি। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা তাদের অনুসরণ করে আরও কিছু দূর গিয়ে গাড়িটি থামান এবং নিজের পরিচয় দেন।
হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
এ সময় হাজি সেলিমের গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করে। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ঘটনার সময় হাজি সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িতে ছিলেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর একইদিন র্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬, দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। ওইদিন র্যাব ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে আটক করে। পরে বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট আরও চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব।
এদিকে ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অস্ত্র মামলায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীর জামিন নামঞ্জুর
তার জামিন নাকোচ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।