তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো পাঁচজন নিয়ে। তাদের মধ্যে একজন নোট অফ ডিসেন্ট দিতেই পারেন। ভিন্নমত থাকতেই পারে। এটাই তো গণতন্ত্রের বিউটি। এতে বোঝা যায় ইসিতে গণতন্ত্র আছে।’
শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি সিলেটে দুটি ইভিএম কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। তারা জিতলে মানবে আর হারলেই কারচুপির অভিযোগ তুলবে। তারা আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না বলেই নানা অভিযোগ দিচ্ছে।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতেই আওয়ামী লীগ ইভিএম সমর্থন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা দূর করতে ইভিএম দরকার। এটি হচ্ছে আধুনিক ভোটগ্রহণ পদ্ধতি।
কেউ যদি নির্বাচনে না আসে তবে তাদের জন্যে নির্বাচনের ট্রেন থেমে থাকবে না মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই।
বিএনপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনিয়ম ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলতে পারবে না বলেই ইভিএম চাচ্ছে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির শর্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যাদের শক্তি, সামর্থ ও জনগণের প্রতি আস্থা আছে এবং যারা জনসমর্থনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা এত শর্ত আরোপ করে না।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, একেএম এনামূল হক শামীম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ, আসন্ন ১১তম সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রাখার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বৈঠকে ইভিএম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সভা বর্জন করেন নিবাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।