বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ইউএনবিকে জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিএমএইচের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।
রুহুল আমিন ১০ মার্চ জ্বর-সর্দি নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন এবং পরে নমুনা পরীক্ষা করা হলে তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
গত ১৩ মার্চ অবস্থার অবনতি হলে সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত রিজভী হাসপাতালে ভর্তি
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। আসরের নামাজ শেষে তাকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
রুহুল আলম চৌধুরী ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৯৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ১১ জানুয়ারি ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান হন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেই
রুহুল আমিন চৌধুরীর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।