বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা তাকে তার নিজ বাড়ি চিৎমরমের মৈইদং পাড়া থেকে অপহরণ করে বলে জানা যায়।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, অপহরণের খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার এসআই কাউসারের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল মৈদং এলাকায় পৌঁছে।
আরও পড়ুন: অপহরণের ১ বছর পর এনজিও কর্মকর্তার লাশের সন্ধান
এছাড়া শুক্রবার সকালে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে থানা পুলিশের আরও একটি দল অপহৃত যুবলীগ ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদককে উদ্ধারে ওই এলাকায় তল্লাশি চালায়। কাপ্তাই জোনের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও তাকে উদ্ধারে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, পাহাড়ের অস্ত্রধারী জেএসএসের সন্ত্রাসীরা যুবলীগের এই নেতাকে অপহরণ করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে জীবিত উদ্ধারের জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: অপহরণের শিকার সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারের মামলা দায়ের
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ছিদ্দিক জানান, ইতোমধ্যে জেএসএসের অস্ত্রধারী চিৎমরম এক যুবলীগ নেতাকে হত্যা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা পাহাড়ে একের পর এক খুন, অপহরণ করে যাচ্ছে এবং গতকাল এই নেতাকে অপহরণ করে।
এদিকে, শুক্রবার সকালে কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী নেতৃত্বে চিৎমরম এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি চিৎমরম বাজার থেকে বের হয়ে চিৎমরম বড়পাড়া, চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ও চিৎমরম হেডম্যান পাড়া প্রদক্ষিণ করে চিৎমরম বাজারে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে আবারও বাড়ছে করোনা রোগী
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পাইওখ্যই মারমাকে অপহরণে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ।
আরও পড়ুন:রাঙামাটিতে অস্ত্রসহ একজন আটক
রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা ও অপহৃত যুবলীগ নেতাকে উদ্ধারে জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।