বিএনপি চেয়ারপার্সন
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত অবমাননার মামলায় আজ ভোরে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
এর আগে, ৬ নভেম্বর হাবিবুর রহমানকে আদালতে হাজির হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাইকোর্টের এক বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাবাস নিয়ে হাবিবুর একটি ভিডিওতে বলেন, ‘শপথ করে বলে যেতে চাই, এই সরকার যেদিন ক্ষমতায় থাকবে না, ওই বিচারপতি আখতারুজ্জামান জীবিত থাকলেও তাকে মরতে হবে, মরে গেলেও কবর থেকে লাশ ওঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে আপিল বিভাগে তলব
আদালত অবমাননা: ব্যাখ্যা জানাতে সুরক্ষা সচিবসহ কারা মহাপরিদর্শককে আপিল বিভাগে তলব
১ বছর আগে
আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে জরুরি লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ড. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, লিভার সিরোসিসসহ বেশ কিছু গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি (খালেদা জিয়া) যেকোনো সময় সংকটে পড়তে পারেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ড. এফ এম সিদ্দিক বলেন, লিভার সিরোসিসের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, 'আমরা যা করতে পারি সব করেছি। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য বিদেশের যেকোনো উন্নত প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, 'যথাযথ চিকিৎসার অভাবে' বিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে।
ড. এফ এম সিদ্দিক বলেন, 'মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই যে, যেকোনো মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি প্রতিষ্ঠানে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ট্রান্সসাগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শন্ট (টিআইপিএস) দিয়ে তার চিকিৎসা করার জন্য এখনও সময় আছে।’
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হয়নি: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে (টিআইপিএস) প্রয়োজন।
বোর্ডের আরেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ঘন ঘন ব্যবহারের কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কাজ করছে না।
গত ৯ আগস্ট থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তিনি লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে 'অ্যাডভান্সড মেডিকেল সেন্টারে' চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন।
কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, তাকে প্রথমে কারাগারে ফিরে যেতে হবে এবং পরে এ বিষয়ে অনুমতি নিতে আদালতে আবেদন করতে হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী ইতোমধ্যে মীমাংসিত পিটিশনটি খোলার কোনো সুযোগ নেই। এটি খোলার আর কোনো সুযোগ নেই।
তবে কিছু আইন বিশেষজ্ঞ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবী মনে করেন, সরকার তার বিচক্ষণ ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে পারে।
গত ৩ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, বর্তমান 'কাপুরুষোচিত' সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দিয়ে 'হত্যা' করতে চায়।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। তবে শর্ত দেওয়া হয় যে, তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করবেন এবং দেশ ত্যাগ করবেন না। পরে সরকার অষ্টমবারের মতো খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপির
১ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। দেশে তার চিকিৎসা করার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তারা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
তারা বিদেশে চিকিৎসার সুবিধার্থে আদালতের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যা, কোভিড পরবর্তী জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরে হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার তাকে ৬ মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে তিনি রাজধানীতে তার বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ত্যাগ করবেন না।
আরও পড়ুন: বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
১ বছর আগে
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, গত ২৬ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখনও তার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো নয়।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডাক্তার ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ম্যাডামকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা দিনে দুই বা তিনবার তার সঙ্গে দেখা করছেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করছেন এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠানো জরুরি: ফখরুল
জাহিদ জানান, তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে তার চিকিৎসা করছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এখনও হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো উন্নতি হয়নি। তাই তাকে আর কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না মেডিকেল বোর্ড।
জাহিদ বলেন, চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব ধীরগতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে ভুগছেন এবং তার এখন যা প্রয়োজন বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, খালেদার জীবন বাঁচাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধাসহ বিদেশের যেকোনো অত্যাধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো জরুরি। তবে আমরা তার অবস্থা যাতে খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কারণ এখানে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা আশঙ্কাজনক, বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ড্যাবের
খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
১ বছর আগে
খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ৭৯ বছরে পা দিয়েছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার স্মরণে জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মঙ্গলবারের পরিবর্তে বুধবার সকাল ১১টায় বিএনপি দলের পক্ষ থেকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুধু মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে মিলাদ মাহফিল করবে তাদের দল।
জাতীয় শোক দিবসে তার জন্মদিন পালনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার কারণে বিএনপি ২০১৬ সাল থেকে কেক কাটার পরিবর্তে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে তার জন্মদিন পালন করে আসছে।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাকে হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এক সেমিনারে বলেছেন, মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো তাদের দলের চেয়ারপার্সন বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন। ডাক্তাররা বারবার বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে তার চিকিৎসার কথা বললেও সরকার তাকে সে সুযোগ দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় 8 ফেব্রুয়ারি, ২০১৮-এ বিচারিক আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
২৫ মার্চ, ২০২০-এ বিএনপি প্রধানকে কিছু শর্তে একটি নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বয়স এবং মানবিক ভিত্তি তার পরিবারের দ্বারা একটি আবেদন অনুসরণ করে.
বিএনপির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৬ ঘণ্টার অনশন
১ বছর আগে
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান।’
হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
৭৮ বছর বয়সী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি নেত্রী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
১ বছর আগে
গ্রেপ্তারের ৩ ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তাদির
সিলেটে গ্রেপ্তারের তিন ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
মুক্তাদিরের আইনজীবীরা থানায় মুক্তাদিরের জামিনের কাগজপত্র প্রদর্শন করলে শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরআগে শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের সামনে থেকে মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির কারাগারে
মুক্তাদিরকে থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বলেন, ‘যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাতে মুক্তাদির জামিনে ছিলেন। আজ গ্রেপ্তারের পর তার আইনজীবীরা থানায় রি-কল দেখালে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।’
সুদীপ বলেন, পুরনো একটি নাশকতার মামলায় মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিলো। সে মামলায় বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
জানা যায়, গ্রেপ্তারের পর মুক্তাদিরকে কোতোয়ালি থানাতেই রাখা হয়। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। ইফতারের আগ মূহূর্তে ছাড়া পান মুক্তাদির।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে সিলেটেও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্যই শনিবার সিলেটে আসেন মুক্তাদির। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির গত সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধিন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির গ্রেপ্তার
নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ বিএনপি প্রার্থী মুক্তাদিরের
১ বছর আগে
বোন ও নাতনির সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন খালেদা জিয়া
বোন সেলিনা ইসলাম ও নাতনি জাহিয়া রহমানসহ নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে গুলশানের বাসায় ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
ঈদের দিন দুপুরে রান্না করা খাবার নিয়ে খালেদার বাসায় যাবেন সেলিনা। সন্ধ্যায় তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে সেলিনা ইসলাম বলেন, তার বোন এখনো অসুস্থ এবং তাকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফলে, আমরা যখনই ইচ্ছা তার সাথে সরাসরি দেখা করতে পারি না। যেহেতু আগামীকাল (রবিবার) ঈদ, আমি তার বাসায় যাব এবং তার সাথে দিনটি কাটাব।’
সেলিনা জানান, খালেদার নাতনি জাহিয়া, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ছোট মেয়েও তার সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন।
তিনি বলেন, তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার এবং তার দুই ছেলের শাশুড়িসহ আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৩ দিন থাকার পর গত ২৪ জুন নিজ বাসভবনে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১০ জুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার
২ বছর আগে
সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার বলেছেন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো তিনি (খালেদা) অসুস্থ। তার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্লিজ, আপনারা সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। তিনি নিজেই দেশবাসীকে তার জন্য দোয়া করতে বলেছেন।’
সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাহিদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের অসুস্থতা নিয়ে কেউ কেউ মজা করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালা কেবল তাদের বিষয়টি বোঝার ক্ষমতা দেন। যদি সে এখন অসুস্থ না হতো, তাহলে কেন তার মেডিকেল চেকআপের প্রয়োজন হতো?’
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি পায়ে হেঁটে আলিয়া মাদরাসা মাঠে যেতেন, তিনি এখন হুইলচেয়ারে আবদ্ধ রয়েছেন। তিনি কতটা ভাল আছেন যখন তাকে হুইলচেয়ারে করে যেতে হয়?’
ডা: জাহিদ বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার চিকিৎসার পরবর্তী পথ নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ড মনে করছে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হবে। কিন্তু সরকার তাকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না।
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালে পৌঁছান এবং সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন বলে জানিয়েছেন তার মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন হাসপাতালে তার কিডনি, হার্ট ও লিভারের একাধিক পরীক্ষা করান। তারপর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার বাসায় ফিরে আসেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: সাহস থাকলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন: ফখরুল
২ বছর আগে
খালেদা জিয়া: বিদেশ নেবার অনুমতি দেয়নি সরকার
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেবার জন্য অনুমতি দেয়নি সরকার।
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশ যাত্রা: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের নথি স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে
আসাদুজ্জামান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই একটা আবেদন নিয়ে আসছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আপনারা জানেন যে তিনি (খালেদা জিয়া) আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে প্রিজনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে মানবতার তাগিদে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর (১) ধারা অনুযায়ী তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে সুবিধামতো চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং বাসায়ই অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
মন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) হঠাৎ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এর মধ্যে তার ছোট ভাই আবার আসছিলেন এবং আবেদন করেছিলেন, তিনি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন আমাদের। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য সেখানে পাঠিয়েছিলাম। সেটাও আপনারা জানেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনা নেগেটিভ
তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে যে মত আসছে, তারা স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন, ৪০১ ধারায় সাজা স্থগিত করে যে সুবিধাটি দেয়া হয়েছে, এটা দ্বিতীয় বার তার সাজা মওকুফ করে তাকে বিদেশে পাঠানোর কোন অবকাশ এই ৪০১-এ দ্বিতীয়বার নেই। এটা তারা জানিয়ে দিয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষে সেই সাজাটা স্থগিত হয়েছিল যে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না বা বাসা থেকেই চিকিৎসা নেবেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী, আমরা তাদের আবেদনটা মঞ্জুর করতে পারছি না। এখন তাদের আমরা এটাই জানিয়ে দিব।’
বিএনপির অভিযোগ করছে সরকারের কারণে বেগম জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা করা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কি অভিযোগ করল সেটা প্রশ্ন আসে না। আমাদের আইন অনুযায়ী যেটুকু করণীয় আমরা সেটুকু করছি। যেখানে মানবতার প্রশ্ন এসেছে সেটাও আমরা করেছি। বিএনপি আবেদন করতেই পারে। আইনের বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারি না।
উল্লেখ্য, দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দী ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে-এই দুটি শর্তে তার দণ্ড স্থগিত করা হয়।
৩ বছর আগে