বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার আইনজীবীদের রবিবার আসার কথা বলেন। সেই সাথে এটাও জানিয়েছেন যে, ওইদিন হাইকোর্টের নিয়মিত বিচারের তালিকায় এ মামলাটি থাকবে।
এর আগে সকালে খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন হাইকোর্টের কাছে আবেদনটি দাখিল করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলমও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন মঙ্গলবার হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে চিকিৎসা নিতে জামিন চাইলেন খালেদা জিয়া
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খালেদার জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, ‘তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন।’
ওইদিন (মঙ্গলবার) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুলের হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদার মুক্তি নিয়ে কোনো গোপন সমঝোতা হচ্ছে না
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। একই বছরের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে খালেদা, তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে
এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।