বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে, ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে, ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে, ১৮ সেপ্টেম্বর অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশের উদ্যোগে, ১৯ সেপ্টেম্বর ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ও ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে দেশব্যাপী মানববন্ধন পালন করা হবে।
এরপর আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে, ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে, ২৪ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগ, ২৫ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে, ২৭ সেপ্টেম্বর এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
‘তাকে তার প্রাপ্য জামিনও দেয়া হচ্ছে না। তাকে কারামুক্ত করতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আমরা ধাপে ধাপে কর্মসূচি গ্রহণ করেছি’, বলেন তিনি।
এর আগে গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি মানববন্ধন করে। একই দাবিতে বৃহস্পতিবার দেশের সকল জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তবে অসুস্থতার কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।