বিএনপির
শনিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক বিএনপির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণার ফলে হরতালের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, হরতাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে সোমবার সকাল ৬টায় শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মী আটক
এর আগে আরেকটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার সারাদেশে মিছিল ও গণসংযোগ করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের জন্যই তাদের এই কর্মসূচি।
রিজভী বলেন, নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে শুক্রবার সমমনা অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত সোমবার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বর্ধিত করার দেওয়া হয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর দলটি ২৬ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে এ কর্মসূচি তিনবার বাড়ানো হয়।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও কয়েকটি জোট যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেপ্তার হন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে অন্য নেতাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন এবং চার দফায় পাঁচ দিন দেশব্যাপী হরতাল পালন করে।
সবশেষে ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি
১০ মাস আগে
বিএনপির সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিকাল ৩টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের কথা বলার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটলে বিদেশি মিশন কি বিবৃতি দেয়: মোমেন
১ বছর আগে
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনই একমাত্র সমাধান এবং কোনো অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না, এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
রবিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন
নির্বাচন কমিশনের আরপিও ('জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) বিল, ২০২৩' সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি বরং আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে।
দুই মাসের মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির জন্য সরকার বিচার ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছে বলে বিএনপির উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ নিয়ে তারা (বিএনপি) কোনো চিঠি দেখালে আলোচনা হবে। আমি মনে করি তারা (বিএনপি) অন্য কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে মিথ্যা ইস্যু তৈরিতে তৎপর। আমি দৃঢ়ভাবে বলেছি, এ বিষয়ে কোনো চিঠিও দেওয়া হয়নি বা কোনো মৌখিক আদেশও দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
আইন মেনেই পুলিশ বিএনপির ৫৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ দেশের আইন মেনেই বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।
সম্প্রতি বিনা পরোয়ানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা বৈধ কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন।
শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সবকিছু করছে।
বনানীতে বিএনপি কর্মীরা কী ধরনের সন্ত্রাসী কাজ করেছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘মামলার এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দেখলেই বুঝতে পারবেন। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বিরোধী দলকে হয়রানি ও বাধা দিতেই এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে: আইজিপি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, এমন কিছু নয়, মামলার কপি দেখলেই সব পরিষ্কার হবে।
গত ১৯ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানী ক্লাবে সমাবেশ করার সময় বিএনপির ৫৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি সদস্যরা বনানী ক্লাবে বসে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে পুলিশ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠায়।
পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইজিপি বলেন, ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইন্টারপোল এবং দুবাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইন্টারপোল রবিউলের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে বলে জানান তিনি।
ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাই যাওয়ায় আরাভ খানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো বাধা আছে কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, দুবাইয়ে আরাভের গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের দেয়া দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ পুলিশ: আইজিপি
যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ বদ্ধপরিকর: আইজিপি
১ বছর আগে
গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর মিরপুর থেকে গাবতলী অভিমুখে মিছিল শুরু করেছেন বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে গাবতলী এসএ খালেক পরিবহন ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এটি বিএনপির তৃতীয় কর্মসূচি। এর আগে দলের ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট শনিবার বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট সোমবার যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত পদযাত্রা করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে মোশাররফ বলেন, বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করে তখনই ‘দখলকারী’ সরকার সহিংসতার কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ‘কিন্তু বিএনপি বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণভাবে ১০টি সমাবেশ করেছে। এছাড়াও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আরও অনেক কর্মসূচি পালন করেছি। বাস্তবতা হলো বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি নিয়ে আসে তখনই সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয় পায়।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক লুণ্ঠন ও বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, দেশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে জনগণ রাজপথে নেমেছে। ‘এই সরকার যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা ছাড়বে, দেশের ততই মঙ্গল।’
বিএনপি সহিংসতা ও বিশৃংখলা করে না তা প্রমাণ করতে তিনি আগের সব কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ খুবই কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ইউটিলিটি সার্ভিসের দামও বাড়াচ্ছে। ‘দেশ ও এর জনগণকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বা যারা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে তাদের সমর্থন করছে, অথচ বিএনপি বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। ‘জনগণের সঙ্গে মিলে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের আবারও এটি (গণতন্ত্র) পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ব্যানার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন পর্যন্ত বিএনপির ২য় পদযাত্রা শুরু
শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ বিএনপির পদযাত্রা শুরু
১ বছর আগে
বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
বরিশালে বিএনপির সমাবেশের মঞ্চের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুক্ষণ এই সংঘর্ষ চলার পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বুধবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপির সমাবেশস্থলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঞ্চের সামনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী তপু কাজীর সাথে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সবুজ আকনের দ্বন্দ হয়। এই নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই জনের সমর্থক হাতাহাতিতে জড়ায় এরপর তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মী পর্যায়ের লোকজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে তাদের শান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ২০
ফরিদপুরে বিএনপির ১১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
১ বছর আগে
ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
ফরিদপুরে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও অনুসারী শনিবার দলটির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
ফরিদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটি সকাল ১১টায় জেলা শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ও পুলিশের বাধা, বাস ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট ঝামেলা এবং ফরিদপুর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হওয়ায় শোডাউন আশঙ্কায় পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে আগাম জড়ো হওয়ায় শুক্রবার রাতেই সমাবেশস্থল বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্বারা প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: ৫ জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন যে বিভিন্ন প্রবেশপথ, পুলিশ চেকপোস্ট ও সিএন্ডবি ঘাটে তাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিয়েছে।
তবে সকাল থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোট ছোট মিছিলে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলে আসতে দেখা যায়।
শহর থেকে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের দিকে যানবাহন ও অটোরিকশা যেতে না দেয়ায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ৬ কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হন।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে এই সমাবেশের উদ্দেশ্য।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। কিন্তু এই দাবি সংবিধান তা হতে দেয় না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির কয়েকজন নেতাসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের পাঁচটি জেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা বুধবার থেকে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন এবং তাদের অনেকেই সেখানে রাত কাটাচ্ছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছে আয়োজকরা।
শুক্রবার সকাল থেকে ফরিদপুরের সঙ্গে সারাদেশে বাস যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ট্রেন, ট্রাক, ছোট যানবাহন, অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে আসতে দেখা গেছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বাস ধর্মঘট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন বাধা ও চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে তাদের নেতাকর্মীরা ফরিদপুরে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন যে তারা সমাবেশে এক লাখেরও বেশি লোকের অংশগ্রহণ আশা করেন।
ফরিদপুর জেলা বাস শ্রমিক ও মালিকরা শুক্রবার সকালে ৩৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে যান, এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে বিএনপি অভিযোগ করেছে যে তাদের সমাবেশকে ব্যর্থ করার পরিকল্পনার অংশ এটি।
বরিশাল, রংপুর ও খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগেও একই ধরনের ধর্মঘট দেখা যায়, তবে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক বাধা অতিক্রম করে সমাবেশে অংশ নেন।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: যুবলীগের সুবর্ণ জয়ন্তী সমাবেশ, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশ: ৩৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু
২ বছর আগে
বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আ.লীগ ভীত নয়: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গত সাত দশক থেকে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছেন,কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়।
মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার নাকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন ‘সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা নিজেদের মিছিলে মারামারি করছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে, আর দোষ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনকে।’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,‘বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।’
স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এসময় জনগণের সম্পদ ও স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে।
কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলেন অথচ এর সবকয়টি তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে এমনটা মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিক ভাবে সকল কর্মসূচি মোকাবিলা করব।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার তা কঠোর ভাবে দমন করবে।’
বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোন অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন:ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন?’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতির চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্কার ভাবে বলেছিলেন, এই মূল্যবৃদ্ধি সাময়িক; সময় হলে মূল্যবৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা বোঝেন বলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে।’
আরও পড়ুন:যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালি জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধ: ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি
ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করতে ১২ দিনের মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
৫ বছর আগে